পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

लैश । 86 আর একটি কথা। লয় কত সাধনাসাপেক্ষ তাহ বলিয়াছি। কত জন্ম, কত শতাব্দী, কত যুগ ধরিয়া সাধনা করিলে তবে ব্ৰহ্মত্ব প্ৰাপ্ত হওয়া যায় তাহার ঠিকানা নাই। অতএব লয় যে শাস্ত্রের চরম কথা এবং লয় যে সমাজের শেষ লক্ষ্য সে শাস্ত্রে এবং cन' সমাজে মনুষ্যেরা ও সমাজের দীর্ঘ জীবন যে অতি প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবে সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । কারণ যেখানে দীর্ঘ সাধনা আবশ্যক। সেখানে দীর্ঘজীবন লাভ করিবার প্রয়াস স্বভাবতই প্রবল হইবার কথা। আমাদের মধ্যে হইয়াছিলও। তাহাঁই। মসুয্যের জীবন ও মনুষ্যসমাজের জীবন দীর্ঘ করিবার "অভিপ্ৰায়ে আমাদের শাস্ত্ৰে যেরূপ বিধিব্যবস্থা আছে বোধ হয় আর কোথাও সেরূপ নাই। স্বাস্থ্যরক্ষা আমাদের ধৰ্ম্মশাস্ত্রের অনেক ব্যবস্থারই উদ্দেশ্য। আমাদের অনেক ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের উদ্দেশ্যের সহিতও ঐ উদ্দেশ্য জড়িত। আমাদের আহ্নিক ক্রিয়াতেও ঐ উদ্দেশ্য পরিলক্ষিত। দীর্ঘ সাধনার জন্য দীর্ঘজীবন এত আবশ্যক বলিয়াই পুরাণে বহুসহস্রব্যাপী তপস্যার কথা| দেখিতে পাওয়া যায় এবং প্ৰজার অকালমৃত্যু রাজার মহাপাপের ফল বলিয়া উক্ত। ফলতঃ অসীম সাধন-সাপেক্ষ লয় যেখানে জীবনের চরম উদ্দেশ্য জীবন দীর্ঘ করিবার আবশ্যকতা সেখানে যত অধিক অন্য কোথাও তত অধিক হইতে পারে না। এবং সমাজের ভিতর দিয়া না গেলে যখন লয়ের পথে প্ৰবেশ করিবার উপায় নাই তখন সমাজের জীবন দীর্ঘ করিবার আবশ্যকতাও সেখানে যত অধিক অন্য কোথাও তঁত অধিক হইতে পারে না। , , অতএব যেখানে হিন্দুর লয়তত্ত্ব সেইখানেই গৃহ ও সমাজ