পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৭৬
১৫১৩ সাল।

সেখান হইতে পাঁচটী রিভলবার সংগ্রহ করিয়া কাপ্তেন মহাশয়কে যে কেবিনে বিদ্রোহীরা আবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিল, তদাভিমুখে গমন করিলাম। উহার সম্মুখেই চারিজন পাহারা বসিয়া আছে দেখিলাম। আমাদিগকে দেখিয়া তাহারা চীৎকার করিয়া আক্রমণ করিতে অগ্রসর হইল। আমরা তাহাদিগের মস্তকের দিকে রিভলবার লক্ষ্য করিয়া ধরিলাম এবং বন্ধুবর দৃঢ়ভাবে তাহাদিগকে বলিলেন:—

 “খবরদার্। এক পা এগুলেই তোদের মাথা উড়িয়া যাইবে। যদি ভাল চাস্, তবে তোদের লাঠি এক পাশে ফেলিয়া দে। নইলে তোদের রক্ষা নাই।”

 বন্ধুবরের সেই দৃঢ়তা-ব্যঞ্জক স্বর বিদ্রোহীদিগকে নরম করিয়া দিল। তাহারা দুই একবার “হাঁ,—না” বলিয়া লাঠি দিল এবং অপরাধের জন্য বারংবার ক্ষমা প্রার্থনা করিতে লাগিল।

 বন্ধুবর নরম ভাবে বলিলেন:—

 “তোদের বিশেষ দোষ নাই জানি। তোরা মন্দলোকের প্ররোচণায় এইরূপ দুঃসাহসিক কার্য্য করিয়াছিস্। আয়, আমাদের সঙ্গে আয়। তোদের দোষ এবারকার মত মাপ করিলাম।”

 বারংবার কৃতজ্ঞতা জানাইয়া তাহারা আমাদিগের সহিত কপ্তেন মহাশয়ের কেবিনে প্রবেশ করিল। তাঁহাকে সত্বর মুক্ত করিয়া তাঁহার মুখে বিদ্রোহের সকল বিবরণ শুনিয়া লইলাম। আমাদিগের দল এখন ভারী হইল। তখন বন্ধুবরের নেতৃত্বে ধীরে ধীরে সকলে ডেকের নিম্নে অবতরণ করিলাম। সেখানে অপরাপর বিদ্রোহীরা জটলা করিতেছিল।

 হঠাৎ আমাদিগকে, বিশেষতঃ কাপ্তেন মহাশয়কে, দেখিয়া তাহারা বুঝিল যে আর নিস্তার নাই। কেহ কেহ “মার” “মার” করিয়া লাঠি তুলিয়া দাঁড়াইল। সকলকে সম্বোধন করিরা বন্ধুবর বলিলেন:—

 “হুঁসিয়ার! তোদের যে পালের গোদা, সে ধরা পড়িয়াছে। তোরা