পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/১১৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
TarunnoBot (আলোচনা | অবদান) Text from Google OCR |
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
২১:৩৯, ১০ জুলাই ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
শরৎ-সাহিত্য-সংগ্রই কৃষ্ণপিপিমাতা মাথায় হাত বুলাইয়া দিতে লাগিলেন। একটু থামিয়া আবার কহিল, বড় পেট কামড়াচ্চে, বড় গা বমি বমি করছে। সকলে সকলের মুখপানে চাহিয়া দেখিল যেন প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মনের কথা । মুখের উপর পড়তে চেষ্টা করিল। পুনৰ্ব্বার কিছুক্ষণ নিস্তন্ধে অতিবাহিত হুইল—সকলেই মৌন মানমুখে শেষটার জন্য অপেক্ষা করিয়া বসিয়া আছে । কিছুক্ষণ পরে জড়াইয়া জড়াইয়া বড় কাতরভাবে মাধব বলিল, বড় তেষ্ট । পিসিমাতা দুগ্ধের পরিবর্বে মুখে একটু গঙ্গাজল দিলেন। আগ্রহে মাধব সেটুকু সম্পূর্ণ পান করিয়া বহুক্ষণ ধরিয়া নিস্তন্ধে পড়িয়া রহিল। ক্রমে শ্বাস বাড়িয়া উঠিল, সকলেই তাহা লক্ষ্য করিলেন ; কৃষ্ণঠাকুরাণী নাড়ি দেখিতে জানিতেন, অনেকক্ষণ ধরিয়া হাত দেখিয়া সদানন্দকে কাছে ডাকিয়া বলিলেন, এবার নীচে শোয়াতে হবে। সদানন্দ চুপ করিয়া রহিল। রাসমণির কর্ণে একথা প্রবেশ করিয়াছিল, তিনি অস্ফুটে কাদিয়া উঠিলেন—স্বার দেখ কি সদানন্দ ? ছলনা কাদিয়া উঠিল, কৃষ্ণপিসিমাত কাদিয়া উঠিলেন, সঙ্গে সঙ্গে মাধবেরও প্রায়অচেতন দেহ নীচে নামিয়া আসিল । বহুক্ষণ পরে মাধব আর একবার ই করিল-কৃষ্ণপিসিমাতা পূর্বের মত তাহাতে আর একটু জল দিলেন। মাধব যেন একটু বল পাইল—একবার চক্ষু চাহিল, তাহার পর মৃদ্ধ মুছ হাসিয়া বলিল, সদাদাদা,—দিদি এসেছে । ছলনাময়ী নিকটে বসিয়াছিল, আজ সমস্ত রাত্রি সে নিদ্রা যায় নাই, শিহরিয়া সে জননীর আরো নিকটে ঘোঁশিয়া বসিল ; রাসমণির সর্বশরীর রোমাঞ্চিত হইয়া ऐठेिल । আর কিছুক্ষণ পরে, মাধবচন্দ্র অত্যন্ত অস্থির হইয়া পড়িল, মাথা নাড়িতে লাগিল -প্রবল শ্বাস হইয়াছে ; দেখিয়া শুনিয়া কৃষ্ণঠাকুরাণী কাদিয়া বলিলেন, আর কেন ? সময় হয়েচে-রাসমণি চীৎকার করিয়া উঠিলেন-পরকালের কাজ কয়— তুলসীতলা— সকলেই তখন উক্ষরোলে কাদিয়া উঠিলেন। চীংকার শব্দে হারাণচন্দ্রের নিগ্রাভঙ্গ হইল, তিনি ছুটিয়া বাহিরে আসিয়া দেখিলেন, মাধবকে ধরাধরি করিয়া বাহিরে জানা হইতেছে—তিনিও চীংকার করিয়া পুত্রের শরীর তুলসীতলায় ক্রোড়ে লইয়া বলিলেন-কাদিয়া ভাবিলেন, বাবা-মাধু— সেও বোধ হয় গে। গো করিয়া একবার কহিল, বা—বা ।
- s 9