পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৩১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh||{{xx-larger|হামিরের চিতোর উদ্ধার।}}|}}
{{rh||{{xx-larger|হামিরের চিতোর উদ্ধার।}}|}}
{{gap}} দিল্লীর সমাট আলাউদ্দীন দুইবার চিতোর আক্রমণ করিয়াছিলেন। দ্বিতীয়বার যখন আক্রমণ করেন তখন রাণা অজয়সিংহ পিতার একান্ত অনুরোধে জীবন রক্ষা করিতে বাধ্য হন। আলাউদ্দীন চিতোর জয়
{{gap}} দিল্লীর সমাট আলাউদ্দীন দুইবার চিতোর আক্রমণ করিয়াছিলেন। দ্বিতীয়বার যখন আক্রমণ করেন তখন রাণা অজয়সিংহ পিতার একান্ত অনুরোধে জীবন রক্ষা করিতে বাধ্য হন। আলাউদ্দীন চিতোর জয় করিয়া চিতোরের শাসনভার মালদেবের হস্তে ন্যস্ত করেন। মালদেব দিল্লীশ্বরের আশ্রিত হইয়া পরম সুখে চিতোর রাজ্য ভোগ করিতে থাকেন। ওদিকে অজয়সিংহ নির্ব্বাসিতের ন্যায় পর্ব্বতে পর্ব্বতে জঙ্গলে জঙ্গলে লুকাইত থাকিয়া পিতৃরাজ্য উদ্ধারের চেষ্টায় নিযুক্ত রহিলেন, কিন্তু তিনি সফলকাম হইতে পারেন নাই। তাঁহার ভ্রাতুষ্পুত্র হামির তাঁহার প্রাণের এই চিরপোষিত আকাঙ্ক্ষা কার্য্যে পরিণত করেন।
করিয়া চিতোরের শাসনভার মালদেবের হস্তে ন্যন্ত করেন। মালদেব দিল্লীশ্বরের আশ্রিত হইয়া পরম সুখে
চিতোর রাজ্য ভোগ করিতে থাকেন। ওদিকে অজয়-সিংহ নির্ব্বাসিতের ন্যায় পর্ব্বতে পর্ব্বতে জঙ্গলে জঙ্গলে
লুকাইত থাকিয়া পিতুরাজ্য উদ্ধারের চেষ্টায় নিযুক্ত রহিলেন, কিন্তু তিনি সফলকাম হইতে পারেন নাই। তাঁহার ভ্রাতৃপ্পুত্র হামির তাঁহার প্রাণের এই চিরপোষিত আকাঙ্ক্ষা কার্য্যে পরিণত করেন।


{{gap}}মালদেব গোপনে এবং ছলনাপূৰ্ব্বক হামিরের সহিত নিজের বিধবা কন্যার বিবাহ দিয়াছিলেন বটে, কিন্তু তাহাতে হামির শত্রুর নিকট এরূপ অপমানিত হইয়া প্রতিশোধ লইতে বিস্বৃত হন নাই। মালদেব জামাতা বলিয়া যাঁহাকে সাদরে গ্রহণ করিয়াছিলেন তাঁহার হস্তেই পররাজ্য অপহরণের উপযুক শান্তি পাইয়াছিলেন।
{{gap}}মালদেব গোপনে এবং ছলনাপূর্ব্বক হামিরের সহিত নিজের বিধবা কন্যার বিবাহ দিয়াছিলেন বটে, কিন্তু তাহাতে হামির শত্রুর নিকট এরূপ অপমানিত হইয়া প্রতিশোধ লইতে বিস্মৃত হন নাই। মালদেব জামাতা বলিয়া যাঁহাকে সাদরে গ্রহণ করিয়াছিলেন তাঁহার হস্তেই পররাজ্য অপহরণের উপযুক্ত শান্তি পাইয়াছিলেন।

১২:০৩, ১ অক্টোবর ২০২১ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হামিরের চিতোর উদ্ধার।

  দিল্লীর সমাট আলাউদ্দীন দুইবার চিতোর আক্রমণ করিয়াছিলেন। দ্বিতীয়বার যখন আক্রমণ করেন তখন রাণা অজয়সিংহ পিতার একান্ত অনুরোধে জীবন রক্ষা করিতে বাধ্য হন। আলাউদ্দীন চিতোর জয় করিয়া চিতোরের শাসনভার মালদেবের হস্তে ন্যস্ত করেন। মালদেব দিল্লীশ্বরের আশ্রিত হইয়া পরম সুখে চিতোর রাজ্য ভোগ করিতে থাকেন। ওদিকে অজয়সিংহ নির্ব্বাসিতের ন্যায় পর্ব্বতে পর্ব্বতে জঙ্গলে জঙ্গলে লুকাইত থাকিয়া পিতৃরাজ্য উদ্ধারের চেষ্টায় নিযুক্ত রহিলেন, কিন্তু তিনি সফলকাম হইতে পারেন নাই। তাঁহার ভ্রাতুষ্পুত্র হামির তাঁহার প্রাণের এই চিরপোষিত আকাঙ্ক্ষা কার্য্যে পরিণত করেন।

 মালদেব গোপনে এবং ছলনাপূর্ব্বক হামিরের সহিত নিজের বিধবা কন্যার বিবাহ দিয়াছিলেন বটে, কিন্তু তাহাতে হামির শত্রুর নিকট এরূপ অপমানিত হইয়া প্রতিশোধ লইতে বিস্মৃত হন নাই। মালদেব জামাতা বলিয়া যাঁহাকে সাদরে গ্রহণ করিয়াছিলেন তাঁহার হস্তেই পররাজ্য অপহরণের উপযুক্ত শান্তি পাইয়াছিলেন।