বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিক্রমোর্কশী। ' ማዔ উৰ্ব্ব –(কুমারের মুখ তুলিয়া ধরিয়া চুম্বন ) বৎস! পিতৃ-ভক্ত হও । ( রাজার নিকটে আসিয়া ) মহারাজের জয় হৈাক । রাজা –এসে পুত্রবতি, কাছে এসে । এইখানে বোসো ! ( অৰ্দ্ধাসন প্রদান ) তাপ —সমস্ত বিদ্যাশিক্ষা করে কুমার এখন কবচধারী হয়েচে । যাকে তুমি আমার হাতে সমর্পণ করেছিলে, তাকে তোমার পতির সমক্ষেই দেখ আবার ফিরিয়ে দিলেম । তাঁ, এখন বিদায় নিতে ইচ্ছা করি, আমার আশ্রম-ধৰ্ম্মের ব্যাঘাত হচে । উৰ্ব্ব —অনেক দিনের পর দেখা হওয়ায় দৰ্শন-তৃষ্ণ আমার যেন দ্বিগুণ বুদ্ধি হয়েচে । ছাড়তেও পরিচি নে, আবার আশ্রমের ব্যাঘাত করাটাও অন্যায় মনে হচ্চে । আচ্ছা যান তবে অর্য্যে ! কিন্তু আবার যেন দেখা হয় । l তাপ –আচ্ছা সেই ভাল । কুমা –আপনি সত্যি ফিরে যাচ্চেন ?—তবে আমাকেও আশ্রমে নিয়ে যান । রাজা –দেখ বৎস! প্রথম-আশ্রমে তুমি তো বাস করে এসেচ ; এখন তোমার দ্বিতীয় আশ্রমে থাকবার এই সময় । তাপ —যাদু ! তোমার পিতা যা বলচেন তাই কর । কুমা –আচ্ছ তবে :– “মণিকণ্ঠ” যে শির্থীর চূড়াটি দিতাম চুলকায়ে আর আমি কোলে মোর অকাতরে পড়িত ঘুমায়ে, পুচ্ছটি উঠিলে তার হেথা তারে দিও গো পাঠায়ে ॥