পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তলানি শীতল বেঞ্চের উপর বসিয়া সবে কথা আরম্ভ করিতে যাইবে, এমন সময় গোপাল সর্দার লণ্ঠন দেখাইতে-দেখাইতে পুরোহিত শ্ৰীযুক্ত রঘুদেব ভট্টাচার্য মহাশয়কে আনিয়া উপস্থিত করিল। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় শীতলকে দেখিয়াই বলিলেন “আচ্ছা বাহাদুর তুমি শীতল ! ই, একটা মানুষের মত মানুষ ! তুমি আজ যা করেছ, এ দেবীপুরে কেন, এ তল্লাটে এমন কেউ করতে পারে না। আমি তোমার উপর খুব সন্তুষ্ট হয়েছি । মনোহর বাবুর মুখের উপর এমন কথা বলতে যে তোমার কেমন করে সাহস হোলো, তাই আমি ভেবে আশ্চর্য্য হয়ে গিয়েছি।” শীতল ঠাকুর বলিল “উচিত কথা বলতে এই শীতল ভট্টাচাৰ্য্য কাউকে ডরায় না। কেমন, উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে" ত ? একঘরে করতে চায়—আমনি একঘরে বললেই তোলো ।” সিদ্ধেশ্বর বলিলেন "বাঃ, এ ত মন্দ ব্যাপার হোলে! না । আমি যে এর বিন্দুবিসর্গ ও বুঝতে পারছিনে।” এই বলিয়া ভট্ট চার্য্য মহাশয়ের পদধূলি গ্রহণ করিয়া তাহার দিকে একখানি চেয়ার অগ্রসর করিয়া দিলেন। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় বলিলেন “কেন, শীতল কিছু বলে নাই ।” সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “বলবে কি, হেসেই অস্থির ” শীতল বলিল “ন, নিজের প্রশংসা আর নিজে নাই করলাম। ভটু.'য মশাই, আপনিই বলুন।” রঘুদেব ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় তখন একে-একে সমস্ত কথা বলিলেন, একটা সামান্ত কথাও বাদ দিলেন না । অবশেষে YY (t