পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তমালি মানদ অতি সঙ্কুচিত ভাবে বলিলেন “এ কি সম্ভব হবে। আমার মত হতভাগিনীর মেয়ের কি বিবাহ হতে পারে ? আমি যে সে আশাই ত্যাগ করেছি। তুমি দিদি, আশ্রয় দিলে, তাই বেঁচে গেলাম ; নইলে এতদিনে কোথায় ভেসে যেতম, তা মনে হলেও ভয় হয় । স্বহার যে দুবেল। দুটো খেতে পাচ্ছে, এই ওর সৌভাগ্য! তার বাড়া আশা করতে আমার সাহস হয় মা দিদি । সমাজে ত আমাদের স্থান নেই। তোমরাই জোর করে খামাদের আশ্রয় দিয়ে নানা বিপদ ডেকে এনেছ?” রমাসুন্দরী বলিলেন “মুধু আশ্রয় নয়, সিধু ভাল এর ঠিক করেছে। সে বরের কোন ক্রট নেই। এই হরিহরের সঙ্গেষ্ট আমরা সুহারের বিবাহ দেব, ঠিক করেছি। কেমন দেবীপুরের চাটুয্যেদের ঘরে মেয়ে দিতে তোর কোন আপত্তি আছে ?” মানদা নিজের কর্ণকে বিশ্বাস করিতে পারিলেন ন: , ললিলেন “দিদি, তুমি এ কি বলছ ? এ তামাসা কেন ?” সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “না, তামাসা নয় ; হরিহর সুঠারকে বিবাহ করতে সন্মত হয়েছে " মানদী ব্রমাসুন্দরীর পা জড়াইয়া ধরিয়া কাদিয়া ফেলিলেন ; কোন কথাই বলিতে পাল্লিলেন না। রমাসুন্দরী পা ছাড়াইয়া লইয়া মানদাকে ধরিয়া তুলিলেন ; বলিলেন “কাদছিস্ কেন মানদ ” মানদার তখন কথা ফুটিল । তিনি বলিলেন “আমি যে এ কথা বিশ্বাস করতে পারছিনে। মুহারের যে এমন অদৃষ্ট হবে, তা কি করে বিশ্বাস করব দিদি ” Y & Y