পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩৪
জয়তু নেতাজী

নীতিই জয়ী হইয়াছে―তাঁহারই বন্ধুত্বের পুরস্কার-স্বরূপ ব্রিটিশ ভারতকে ঐ স্বাধীনতা দান করিয়াছে। কিন্তু তখনও তিনি এতখানি আশা করেন নাই―তখন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ আসন্ন হয় নাই। তাই ব্রিটিশের হস্তে নিদারুণ পরাজয় লাভ করিয়া গান্ধী কংগ্রেস-পরিচালনার ভার মুখ্যতঃ শিষ্যগণের হাতে ছাড়িয়া দিয়া অপর একটি সাধনায় মন দিলেন―তিনি পৃথিবীতে এক নবধর্ম্ম-স্থাপনে উদ্যোগী হইলেন। সুভাষচন্দ্র লিখিয়াছেন, তিনি ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রামকে গৌণ করিয়া এই অপরটির প্রতি অধিকতর মনোযোগী হইয়াছিলেন, গুরুতর সমস্ত মীমাংসার চিন্তা না করিয়া সভার বাহিরে বিরাট জনমণ্ডলীকে ধর্ম্মোপদেশ-দান সুরু করিয়াছিলেন; গোল-টেবিলে যখন তিনি ভারতভাগ্যের একটা সংকট-নিবারণে ব্যাপৃত ছিলেন, তখনও তিনি (ভারতীয় রাজনৈতিক সমস্যার আলোচনা না করিয়া) বিলাতের বন্ধুবৈঠকে তাঁহার ধর্ম্মমন্ত্র ব্যাখ্যা করিতেন―সেই ধর্ম্মপ্রচারই তাঁহার অধিকতর প্রিয় ছিল―

 “During his stay in England...... he conducted himself not as a political leader who had come to negotiate with the enemy, but as a master who had come to preach a new faith―that of non-violence and world peace” (P. 317).

 পরে ফ্রান্সে ও সুইজারল্যাণ্ডেও তিনি তাহাই করিয়াছিলেন―তিনি ভারতের স্বাধীনতা-লাভের উপায় সম্বন্ধে আলোচনা করিতেন না, জগতে একটা নবধর্ম্ম প্রচার করিয়া জগদগুরু হইবার বাসনা প্রকাশ করিতেন। ইহার কারণ, ঐ কংগ্রেণী-সংগ্রামে অবসন্ন হইবার বেশ কিছুদিন আগে হইতেই গান্ধী একটি বিষয়ে নিঃসংশয় হইয়া উঠিতেছিলেন―ভারতের জনগণ তাঁহার রাজনৈতিক কার্য্যকলাপকে আর তেমন মূল্যবান মনে করে না―তাহারা তাঁহাকে ইহ-পরকালের