পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নঞ, [ ৫০২ ] ജു এই স্থলে অকুদরী শবোর নঞর্থ অল্পত্ত্ব অর্থাৎ অল্প উদয়বিশিষ্ট। স্ককেশী ন-কেশী, এইস্থলে অপ্রশস্ত্যকেশী এইরূপ অর্থবোধ হইবে। অমুর ন-সুর, এই স্থলে নঞর্থ বিরোধ, অর্থাৎ অল্পর শব্দে মুর বিরোধী এইরূপ অর্থ বুঝাইবে। (মুগ্ধবোধটকা দুৰ্গা” ) “নঞভাবে নিষেধে চ স্বরূপার্থে ইপ্যতিক্রমে । ঈষদর্থে চ সাদৃশ্যে তদ্বিরুদ্ধতদন্তয়োঃ । ( মেদিনী ) শিরোমণি নঞ বাদে প্রথমে "অভাবমাত্ৰং নঞেtহর্থঃ’ অভাবই নঞের অর্থ এইরূপ অর্থ করিয়াছেন। নঞের অর্থ অভাব, অভাব দুই প্রকার সংসর্গাভাব ও অন্তোন্তাভাব। অভাব এই শব্দ বুঝিবার পূৰ্ব্বে কয়েকট নৈয়ায়িকদের পরিভাষার অর্থ বুঝিতে হইবে যথা—যাহার অভাব তাহাকে ‘প্রতিযোগী এবং যাহাতে অভাব থাকে তাহাকে অনুযোগী কহে, অধিকরণের নাম অমুযোগী এবং আধেয়ের নাম প্রতিযোগী । সংসর্গাভাব-সংসর্গ—সম্বন্ধ, সংসর্গের আরোপজষ্ঠ জ্ঞানবিষয়ের অভাবই সংসর্গাভাব। সংসর্গের আরোপ অর্থাৎ প্রতিযোগিতাবচ্ছেদক সম্বন্ধে প্রতিযোগীর আরোপ, যেমন এস্থানে যদি ঘট থাকিত, তবে ঘটের উপলব্ধি হইত, “সংযোগ সম্বন্ধে ঘট নাই” এস্থলে প্রতিযোগিতাবচ্ছেদক সম্বন্ধ-সংযোগ জানিবে। উক্ত সংসর্গভাব তিন প্রকার-প্রাগভাব, ধ্বংসাভাব ও ठाऊारुग्लांख्ठांद् ।। পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে, যাহার অভাব তাহাকে “প্রতিযোগী” কহে । যে অভাব নিজের প্রতিযোগীকে জন্মায়, তাহার নাম “প্রাগভাব” । যেমন এই দুইখানি খাপূরাতে ঘট হইবে, এখন ঘট নাই ভবিষ্যতে হইবে, এই অভাবেই ঘট জন্মাইয়াছে, এই জন্য ইহার নাম “প্রাগভাব” । যেস্থানে বা যে মৃত্তিকায় বা যে থাপ্রায় ভবিষ্যতে ঘট হইবার সম্ভাবনা থাকে, সে স্থানে বা সেই মৃত্তিক বা সে খাপ্রাই উক্ত প্রাগভাবের অধিকরণ বা অলুযোগী। ঘট জন্মাইয়া প্রাগভাব নিজে নষ্ট হয়। প্রাগভাবের নাশ আছে, উৎপত্তি নাই। ধ্বংসাভাব—যে অভাবের উৎপত্তি আছে নাশ নাই তাহাকে “ধ্বংস” বলে। উক্ত অভাবের আকার এইরূপ, যথা ইহ কপালে ঘটে। ধ্বস্তঃ’ যেমন দণ্ডাঘাতে এই কপালে অর্থাৎ খাপরাতে ঘট ধ্বস্ত হইয়াছে, পূৰ্ব্বে ঘটের অভাব ছিল না, ঘট ছিল, পশ্চাৎ দগুঘিাত দ্বারা ঘটের অভাব জন্মিল, কিন্তু সহস্র যুগেও উক্ত অভাবের অভাব হইবে না। ধ্বংসের উৎপত্তি আছে নাশ নাই, প্রাগতাব ও ধ্বংসাভাব এই দুই অভাবই অনিত্য।

অত্যন্তাভাব, যে সংসর্গাভাৰ নিত্য তাহাকেই “অত্যস্তাভাব" বলে । অত্যন্তাভাবের আকার এইরূপ “অত্র ঘটে নাস্তি” এই স্থানে ঘটনাই, অর্থাৎ সংযোগ সম্বন্ধে এন্থলে ধট নাই ইহাই বুঝিতে হইবে। এস্থলে ঘটের অভাব বুঝাইয়াছে, অতএব এই অভাবের প্রতিযোগী ঘট, যেমন ব্রাহ্মণে ব্রাহ্মণত্ব, গোতে গোত্ব ও মনুষ্যে মনুষত্ব এক একটী ধৰ্ম্ম থাকিবেই, যে সম্বন্ধে অভাব ধরা হয়, সেই সম্বন্ধকে প্রতিযোগিতার অবচ্ছেদক সম্বন্ধ কহে, এবং প্রতিযোগীর অংশে বিশেষণীভূত যে ধর্ম, তাহাকে প্রতিযোগিতার অবচ্ছেদক ধৰ্ম্ম কহে, সুতরাং প্রতিযোগিতার অবচ্ছেদক দুই ব্যক্তি হইল ধৰ্ম্ম ও সম্বন্ধ। কথিত স্থলে অর্থাৎ এইরূপ স্থলে "অত্র ঘটে নাস্তি’ এস্থলে ঘট নাই, প্রতিযোগিতার অবচ্ছেদক সম্বন্ধ সংযোগ এবং প্রতিযোগিতার অবচ্ছেদক ধৰ্ম্ম ঘটত্ব, আবার একটী নিয়ম আছে ৰে যাহার অবচ্ছেদক হয়, তদবচ্ছিন্ন সে হয়, এবং প্রতিযোগিতা ও অভাব এই দুয়ের পরস্পর নিরূপ্য নিরূপকভাব সম্বন্ধ, অর্থাৎ প্রতিযোগিতার নিরূপক অভাব হয় । এখন সমস্ত মিলিত হইয়া “অত্র সংযোগেন ঘটোনাস্তি” ইহার অর্থ এইরূপ দাড়াইল, সংযোগ-সম্বন্ধাবচ্ছিন্ন এবং ঘটত্ববচ্ছিন্ন যে ঘটনিষ্ঠ ( ঘুটে ) প্রতিযোগিতা, সেই প্রতিযোগিতার নিরূপক যে অভাব সে এইস্থানে আছে । এই অত্যন্তাভাবের সহিত প্রতিযোগিতার অধিকরণতার বিরোধ। এক সময়ে এক স্থানে যে দুই ব্যক্তির অবস্থিতি ঘটে না, সেই দুই ব্যক্তিরই পরস্পরের বিরোধ-ব্যবহার হইয়া থাকে। যেমন সুখ ও দুঃখের বিরোধিতা । যে স্থানে প্রতিযোগীর ( ঘটের ) অধিকরণত থাকে, সে স্থানে তাহার অভাব থাকে না, যেখানে ঘটের অভাব থাকে, । সেখানে ঘটের অধিকরণত থাকে না, এই বিরোধ । পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, সংসর্গাভাব নিত্য, তাহা এই অত্যন্তাভাব সম্বন্ধে জানিতে হইবে, অর্থাৎ অত্যন্তাভাবের উৎপত্তি ও বিনাশ নাই। সকল সময়েই সকল বস্তুর অত্যন্তা ভাব সকল স্থানে থাকে । এখন আপত্তি হইতে পারে, যদি সৰ্ব্বত্রই সকলের অত্যন্তাভাব থাকে, তবে যে স্থানে ঘট বর্তমান রহিয়াছে দেখিতেছি, সে স্থানে কৈ ঘটের অভাব প্রত্যক্ষ হয় না, পরন্তু দেথা যায়, এই স্থানে ঘট নাই অর্থাৎ ঘটের অভাব আছে, আবার যেই একটা ঘট আনিয়া সেখানে রাখিলাম, তখনই সেই ঘটের অভাব पूब्र श्रेण। उषन भांब्र शयन्नैग्न अङांब cन४ यांद्र मां यदई যেই আবার ঘটটকে দূরীভূত করা হইল, তখন সেই স্থানেই ঘটের অভাব জন্মিল। অতএব য়াহার উৎপত্তি ও মাশ জীছে,