পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায় মচল ফল ভক্ষণ স্বাস্থ্যকর । প্রত্যহ একবেলা কোন না কোন ফল গ্রহণ করা উচিৎ। ফলে যে কেবল উপযুক্ত পরিমাণে লবণ পদার্থ বা ভস্ম বিদ্যমাণ অাছে তাহা নহে ; ইহার স্বস্বাদ ও অন্ন-রস পরিপাকের সাহায্যকারী । ফল গ্রহণে মুখামৃত উৎপন্ন হইয়া খাদ্যের শ্বেতসার পদার্থ পরিপাক হয় এবং ফল গ্রহণে মনের প্রসন্নতা জন্মে। এতদ্দেশে একমাত্র ফল গ্রহণের রীতি প্রচলিত আছে । কিন্তু ফলদ্বারা যখন খাদ্যের পরিপাক হয়, তখন ফল আহারের অব্যবহিত পরে গ্রহণ করাই যুক্তি সঙ্গত। প্রাতে ও মধ্যাহ্নকালীণ ভোজনের সহিত ফল ভক্ষণ শ্রেয়। অম্নস্বাদযুক্ত ফল গ্রীষ্মকাল ব্যতীত রাত্রে গ্রহণ ব্যবস্থা করা যায় না । ফলের মধ্যে আম, কালজাম, গোলাপজাম, কলা, কমলালেবু, বাতাবিলেবু ও অন্তান্ত লেবু, পেপে ,আনারস, আঙ্গুর, নাসপাতি, আপেল, ৰেদান। দাড়িম্ব, বেল, আতা ও কিসমিসূ উৎকৃষ্ট । নারিকেল, কাটাল, ঠুটি, লিচু, খেজুর, তরমুজ, শসা প্রভৃতি ফল পাচ্য । পঙ্ক পেয়ারা ও কুল রন্ধন করিয়া গ্রহণ করা যাইতে পারে । কামরাঙ্গা, নোডুফল, অপক্ক তেভুল কখনও গ্রহণ করা উচিত নহে। অপক কোন ফলই ব্যবস্থা কর ষায় না । ঠিক পক্ক ফল উৎকৃষ্ট । যেমন অপক্ক ফল তেমনি অধিক পঙ্ক, দাগিধরা ও মলিন ফল নিকৃষ্ট । অাম নানা প্রকার আম আছে। তন্মধ্যে আঁশবিহীন ঈষৎ অন্নস্বাদ যুক্ত বোম্বাই, লেঙ্গরা, ফৌজলী প্রভৃতি আম উৎকৃষ্ট । আঁশযুক্ত আমের আঁশ ফেলিয়া গ্রহণ করা উচিত। অাম অতিশয় সুস্বাদু, মধুর ও