পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

یہ پیسیی নববিধান . আমাদের বিশ্বাস বাড়ে। বিজ্ঞানদ্বারা জানিতে পারি, তিনি সকল অবস্থায় আমাদের মধ্যে কাৰ্য্য করিতেছেন। তিনি অস্তরে, বহিরে, সকল স্থলেই আছেন, তাহাকে ছাড়িয়া কাহারও থাকিবীর উপায় নাই । è ঈশ্বরের দ্বিতীয় প্রকাশ-পুত্রভাবে । তিনিই আমাদিগকে , একথা বলিয়া দিয়াছেন, তাহার নিয়ম পালন করা পুত্রের ধৰ্ম্ম । নিয়ম পালন করিলে পুরস্কার হয়, না করিলে দণ্ড হয়। পরলোকে পাপের দণ্ড ও পুণ্যের পুরস্কার হইয়া থাকে, ইহাও আমরা তাহ হইতে অবগত হই। প্রসিদ্ধ দার্শনিক সক্রেতিশ পরলোক নাই সাহস করিয়া ইহার প্রতিবাদ করিতে পারেন নাই । ভগবান আমাদিগকে বিশুদ্ধ জ্ঞানে আলোকিত করিবার জন্ত, পিতার রাজ্যের পথ পুত্রদিগের নিকট প্রকাশিত করিবার জন্ত, মধ্যে মধ্যে পুত্রভাবে পৃথিবীতে দেখা দেন। ইহার অর্থ এরূপ নহে যে, তিনি মনুষ্য হইয়া জন্মগ্রহণ করেন। নববিধানাচার্য্য এইরূপ অবতারবাদ স্বীকার করেন না । বরং এইরূপ অবতারবাদকে—সমূলে বিনাশ করিতেই নববিধান হইয়াছে। অনন্ত নিরাকার ঈশ্বর কিরূপে সান্ত হইয় সাকাররূপে জন্মগ্রহণ করিতে পারেন ? মানব সকল ধৰ্ম্মের পথ সহজ করিবার জন্য, ঈশ্বরকে মনুষ্যত্ব আরোপ করিয়া তাহার অনস্তত্বকে নাশ করিয়া ফেলে। মানুষ ঈশ্বর হইতে পারে, বা ঈশ্বর মানুষ হইতে পারে, ইহা নববিধানাচাৰ্য্য স্বীকার করেন না । ঈশ্বর যখন দেখেন, মানব সকল নিতান্ত হীনবল হইয়া পড়িয়াছে, পাপ সকল আসিয়া তাহাদিগকে আর অনন্তের দিকে যাইতে দিতেছে না, জড় পদার্থ আত্মার পক্ষে নিতান্ত ব্যাঘাত হইয়া দাড়াইয়াছে, তখন তিনি পুত্রভাব প্রেরণ করিয়া জগৎকে পাপভার হইতে মুক্ত করেন। এইরূপে কত শত বার ভগবান পুত্রভাবে প্রকাশিত হইয়া জগতের উদ্ধার করেন, কিন্তু তিনি নিজে শরীররূপে অবতীর্ণ হন না। কিন্তু তাহার একটা ভাব মহাপুরুষের প্রকৃতিতে প্রবিষ্ট করাইয় দেন। সেই ভাবটী তাহার এবং সেই ভাব আসিয়া পৃথিবীকে, সংসারকে, জড় পদার্থকে অর্থাৎ কামনাকে বিনাশ করে। তিনি নিজে পুত্ৰ হইয় অবতীর্ণ হন। মহাপুরুষ লইয়৷ নানাপ্রকার কুসংস্কার দেখিতে পাওয়া যায়। ঈশ্বর অবর্তীর্ণ হইয়াছেন, ইহা বলিলেই লোকে বলিবে যে তাহার কোন অলৌকিক কার্যকরা উচিত। -কেহ কেহ অলৌকিক শব্দের অর্থ অনৈসর্গিক কহিয়া থাকেন, কিন্তু নববিধানাচাৰ্য্য তাছা স্বীকার করেন না। IX ১৬৩ [ ৬৪৯ } ঈশ্বর জন-সমাজের উপকারার্থ মানবের মুক্তির জন্য, তাহার প্রকাও লক্ষ্য পূর্ণ করিবার জন্য তিনি সৰ্ব্বদাই বিধান করিাতছেন। অনেকে ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে বিধান স্বীকার করেন না, কিন্তু নববিধানাচাৰ্য্য সাধারণ বিধান ও বিশেষ বিধান মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিয়া থাকেন। কিন্তু যাহার ধৰ্ম্মবিধান স্বীকার করেন না, তাহারাই সামাজিক বিধান, বৈজ্ঞানিক বিধান প্রভৃতি স্বীকার করিয়া থাকেন। গ্যালিলিও, নিউটন, শঙ্করাচার্য্য প্রভৃতি মহাপুরুষদিগকে ভাবিলে কখন কি দৈবশক্তির উপর অবিশ্বাস হইতে পারে। র্তাহাদের অসাধারণ বুদ্ধি, জ্ঞানের দীপ্তি প্রভৃতি দেখিলে প্রত্যাদেশ বা দৈব আলোক ন মানিয়া কি থাকা যায় ? নিউটন ফলপতন দেখিয়া পৃথিবী ও চন্দ্রের অকে- , র্ষণ অনুভব করিতে পারিয়াছিলেন, এবং সেই অাকর্ষণে আকাশে প্রকাগু প্রকাও স্বৰ্য্যরাশি নিজ নির্দিষ্ট বক্সের মধ্যে নিবদ্ধ আছে, এ ব্যাপারও অনুভব করিতে পারিয়াছিলেন। অনুসন্ধান করিলে সকল মহাপুরুষেই এইরূপ দেখিতে পাওয়া যাইবে। ইহা সকলই বিধাতার লীলা। যদি এই সকল বিধান ' মানিতে আমরা পারি, তাহা হইলে ধৰ্ম্মবিধান মানিতে দোষ কি ? যখনই দেখা যায়, কোন দেশ ভয়ানক দ্বরাচারপ্রবৃত্ত হইয়াছে, অহঙ্কার পাপ প্রভৃতিতে লোকদিগকে আচ্ছন্ন করিয়াছে, তখনই ঠিক সেই পাপগুলি মোচন করিবার জন্য এক একজন মহাপুরুষ একটী বিধান লইয়া আসেন। যখন রোম ও গ্রীসদেশে ভয়ানক পাপ প্রবল হইয়া পড়িয়াছিল, তখন ঈশ পরিভ্রাতারূপে আবিভূত হন। এইরূপ আরবদেশে পৌত্তলিকতা নষ্ট করিবার জন্ত মহম্মদ, ভারতকে বাহধৰ্ম্মপ্রণালী হইতে রক্ষা করিবার জন্ত বুদ্ধ, এবং বঙ্গদেশকে জ্ঞানাভিমান হইতে রক্ষা করিবার জন্য চৈতন্তের আবির্ভাব হয়। ধৰ্ম্মরাজ্যে ধৰ্ম্ম লইয়া অনেক বিবাদ হইয়া থাকে, সকলেই বলে যে আমাদের ধৰ্ম্ম সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এই প্রকারে ধর্মের সহিত তুলনা কর, মহাভ্রম। সকল ধৰ্ম্মের মধ্যে এক একট বিশেষ দেবভাব আছে, এবং কতকগুলি কুসংস্কারও আছে, যেরূপ খৃষ্টান-ধৰ্ম্মে সয়তানে বিশ্বাস, বৌদ্ধধৰ্ম্মে পুনর্জন্মে বিশ্বাস ও ভারতীয় ধৰ্ম্মে সাকার ঈশ্বরে বিশ্বাস। মানবের বিধানে ধৰ্ম্ম হয় না, কোন বিধানের মধ্যে কোনটী দেবতাব আছে, তাহাই পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া দেখাই নববিধানের উদ্দেশু, এবং সেই সকল দেবভাব লইয়াই নববিধান। সয়তানে বিশ্বাস ঈশ স্থষ্টি করেন নাই, তাহার অনেক-পূৰ্ব্ব হইতেই ইহা প্রচত্রিত ছিল। কিন্তু ঈশার সন্তান-বিষয়ক কথা অন্ত্রাঙ্ক এবং নিশ্চয় । পুনর্জন্মবাদ বুদ্ধ স্থষ্টি করেন নাই, তাহার অনেক 躺