পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>\ど ■ গল্পাঞ্জলি কিয়ৎক্ষণ অপেক্ষা করিয়া ভট্টাচাৰ্য্য বলিলেন--"আচ্ছা কত চলে তুই দিস, তাই বলনা । তোর দরটাই শুনি।” রাইচরণ কথা কহে না । ভট্টাচাৰ্য্য হাসিতে হাসিতে বলিলেন—“তুহাজার নিবি ?” রাইচরণ পূৰ্ব্ববৎ । ভাট্টাচাৰ্য্য তখন গম্ভীরভাৰে বলিলেন—“হাসি ঠাট্ট নয়—সত্যিই আমি দুহাজার পর্য্যস্ত উঠব। আসল কথাটা তবে তোকে খুলে বলি। বাবা মহাদেব আমায় স্বপ্ন দিয়েছেন,—বলেছেন, রাইচরণ তাতির ঐ ভিটেটি বড় পবিত্র স্থান—ঐ ভিটেতে একটি মন্দির তুলে তুমি আমায় স্থাপনা কর । তাই তোর ভিটেখানির উপর আমার এত ঝোক । নইলে দুনিয়ায় আর শিবপ্রতিষ্ঠে করবার কি জায়গা পেলাম না ? আমার নিজের ৰাড়ীতেই ত করতে পারি। আজ সকাল সকাল খাওয়া দাওয়া করেনে— চল দুজনে সদরে যাই । কাল দিনটেও ভাল আছে। কাল রেজেষ্টরি হাকিমের সমুখে, একহাতে তোর কওলা নেব, অন্ত হাতে দুহাজার খানি টাক দেব। কি বলিস ?” রাইচরণ বলিল—“আজ্ঞে, সেটি পারব না ।” ভট্টাচাৰ্য্য একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিলেন—“শাস্ত্রে যে বলে অদৃষ্ট ছাড়া পথ নেই—তা ঠিক । তোর অদৃষ্টে নেই মুখ—নইলে তোর এমন বুদ্ধিই বা হবে কেন ? সে কালে এক ব্রাহ্মণ ছিল—তারি গরীব। জল ষোটেন,ছেলেপিলেকেও পেটভরে খেতে দিতে পারে না । ব্রাহ্মণ রোজ সকালে ভিক্ষে করতে বেরুত, সাত গা ভিক্ষে করে সন্ধ্যেবেলা ঘরে ফিরত । একদিন এই রকম ফিরছে। আকাশ দিয়ে হরপাৰ্ব্বতী রথে চড়ে যাচ্ছিলেন। হর্গা বল্পেন—নাথ, ঐ ব্রাহ্মণের কষ্ট দেখে আমার বড়, দুঃখ হয়। রোদর নেই, বৃষ্টি নেই, রোজ এই রকম করে সাত গা ভিক্ষে