বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! ৬২ চাৰুনীতি পাঠ । অর্থের সৃদ্ব্যবহার বিষয়ে অনভিজ্ঞ, বৃথা আমোদ প্রমোদে যাহাঁদের হস্ত উন্মুক্ত, কিন্তু দেশের প্রকৃত মঙ্গলসাধক অনুষ্ঠানে যাহাদের মুষ্টি কঠোররূপে আবদ্ধ ; যে দেশে দরিদ্রগণ সামান্য উদরার ও লজ্জানিবারক বসনের চিন্তায় দিবানিশি ব্যতিব্যস্ত হইয়া জ্ঞানের মর্য্যাদা ও উপকারিতা বুঝিতে অক্ষম, সেই দেশের উত্থান এখনও সুদূর-পরাহত, সে দেশের অধিবাসিগণ এখনও জগতের চক্ষে একটা জাতি বলিয়া পরিচিত হইতে অনেক বিলম্ব আছে । উপরে যাহা বলা হইল, তাহা যদি সত্য না হইবে, তাহাহইলে আজ ভারতের অসংখ্য পুরুষ ও রমণীর নিকট চরিত্রবান অপেক্ষ ধনবানের অধিকতর অাদর কেন ? কেন আজ ভারতরমণী বস্ত্রীলঙ্কারের জন্য এত অযথা লীলায়িত ? কেন ভারতসন্তান মৃত্যুকালে প্রিয়তম বংশধরদিগের জন্য প্রভূত সম্পত্তি রাখিয়া যাইতে পারিলেই আপনাকে কৃতার্থ জ্ঞান করেন ? অপরস্তু সেই সন্তানদিগকে চরিত্ররূপ অমূল্য সনের উত্তরাধিকারী করিয়া বাইতে ততদূর উৎসুক নহেন ? কেন আজ ভারতের চারিদিকে অসংখ্য বৈষম্য দৃষ্ট ইতেছে ? পরিবারে পরিবারে, সমাজে সমাজে, প্রদেশে শ্রদেশে, এত বৈষম্য কেন ? কেন ইহার আর উত্তর দিব ! প্রয়োজন নাই। পূৰ্ব্বে যাহা বলা হইয়াছে, তাহাতে স্পষ্টই প্রতীতি হইবে ভারতে আজি চরিত্রবান লোকের সংখ্যা :িল ! মুষ্টিমেয় চরিত্রবান লোক লইয়াকত দেশ উত্থান করিতে সক্ষন ইয়াছে, ত্বাজ বিনা পঞ্চবিংশতি কোটা ভারতবাসীর মধ্যে এই প্রকার জনকয়েক লোকও খুজিয়া পাওয়া দুর্ঘট !