পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖՀԵ শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ [ ১৮৮৩, ২২শে ডিসেম্বর “কিন্তু ঈশ্বরকে জানতে হলে, অবতারকে চিনতে গেলে, সাধনের প্রয়োজন। দীঘিতে বড় বড় মাছ আছে, চার ফেলতে হয়। দুধেতে মাখন আছে, মন্থন করতে হয়। সরিষার ভিতর তেল আছে সরিষাকে পিষতে হয়। মেতীতে হাত রাঙ্গা হয়, মেতী বাটতে হয়।” [ নিরাকার সাধনা ও শ্রীরামকৃষ্ণ ] ভক্ত ( শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি ) –আচ্ছা, তিনি সাকার না সিরাকার ? শ্রীরামকৃষ্ণ—দাড়াও, আগে কলকাতায় যাও তবে ত জানবে, কোথায় গড়ের মাঠ, কোথায় এসিয়াটিক সোসাইট, কোথায় বাঙ্গাল ব্যাঙ্ক । “খড়দা বামুন পাড়া যেতে হলে আগে খড়দায় পৌছুতে হবে ।” “নিরাকার সাধন হবেনা কেন ; তবে বড় কঠিন। কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ ন ছলে হয় না! বাহিরে ত্যাগ আবার ভিতরে ত্যাগ । বিষয় বুদ্ধির লেশ থাকলে হবে না।”

  • সাকার সাধনা সোজা । তবে তেমন সোজা নয় । “নিরাকার সাধন, জ্ঞানযোগের সাধন, ভক্তদের কাছে বলতে নাই । অনেক কষ্টে একটু ভক্তি হচ্ছে, সব স্বপ্লবৎ বললে ভক্তির হানি হয়।”

“কবীর দাস নিরাকারবাদী। শিব, কালী, কৃষ্ণ এদের মানত না । কবীর বলত কালী চাল কলা খান ; কৃষ্ণ গোপীদের হাততালিতে বানর নাচ নাচতেন (সকলের হাস্ত )।” “নিরাকার সাধক হয়ত আগে দশভূজা দর্শন করলে ; তার পর চতুভূজ। তারপর দ্বিভূজ গোপাল ; শেষে অখণ্ড জ্যোতিঃ দৰ্শন করে তাইতে লীন।” “দত্তাত্রেয়, জড়ভরত ব্ৰহ্ম দর্শনের পর আর ফেরে নাই ; এইরূপ আছে।” “এক মতে আছে শুকদেব সেই ব্ৰহ্ম সমুদ্রের একটী বিন্দু মাত্র আস্বাদ করেছিলেন। সমুদ্রের হিল্লোল কল্লোল দর্শন শ্রবণ করে ছিলেন ; কিন্তু সমুদ্রে ডুব দেন নাই। ա

  • একজন ব্রহ্মচারী বলেছিল, কেদারের ওদিকে গেলে শরীর থাকে না।

সেইরূপ ব্ৰহ্মজ্ঞানের পর আর শরীর থাকে না। একুশ দিনে মৃত্যু।”