পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ খণ্ড !. গ্ৰথম পরিচ্ছেদ দক্ষিণেশ্বরে মণিলাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে আজ রবিবার, ৯ই মার্চ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৮৮৪ খ্ৰীষ্টাব্দ, শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে অনেকগুলি ভক্ত সঙ্গে বসিয়া আছেন ; মণিলাল মল্লিক, সিতির মহেন্দ্র কবিরাজ, বলরাম, মাষ্টার, ভবনাথ, রাখাল, লাটু, অধর, মহিমাচরণ, হরিশ, কিশোরী (গুপ্ত ), শিবচন্দ্র প্রভৃতি। এখনও গিরীশ, কালী, স্ববোধ প্রভৃতি আসিয়া জুটেন নাই। শরৎ, শশী ইহারা সবে দু একবার দেখিয়াছেন। পূর্ণ, ছোট নরেন প্রভৃতিও তাঁহাকে এখনও দেখেন নাই। শ্রীরামকৃষ্ণের হাতে বাড়বাধা । রেলের ধারে পড়িয়া গিয়া হাত ভাঙ্গিয়াছে —তখন ভাবে বিভোর হইয়াছিলেন। সবে হাত ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, সৰ্ব্বদাই হাতের যন্ত্রণা | কিন্তু এই অবস্থাতেই প্রায় সমাধিস্থ থাকেন ও ভক্তদের গভীর তত্ত্বকথা বলেন । একদিন যন্ত্রণায় কাদিতেছেন, এমন সময় সমাধিস্থ হইলেন। সমাধির পর প্রকৃতিস্থ হইয়া মহিমাচরণ প্রভৃতি ভক্তগণকে বলিতেছেন বাবু সচ্চিালনা লাভ না হ’লে কিছুই হ’ল না। ব্যাকুলত না হ’লে হবে না। আমি কেঁদে কেঁদে ডাকতাম আর বলতাম ওহে দীননাথ, আমি ভজন সাধনহীন, আমায় দেখা দিতে হবে। সেইদিন রাত্রে আবার মহিমাচরণ, অধর, মাষ্টার প্রভৃতি বসিয়া আছন। ঐরামকৃষ্ণ (মহিমাচরণের প্রতি)—এক রকম আছে অহেতুকী ভক্তি এইটা যদি সাধতে পার।