পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ খণ্ড গ্ৰথম পরিচ্ছেদ দক্ষিণেশ্বরে গ্রীরামকৃষ্ণের জন্মমহোৎসব নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে উত্তরপূৰ্ব্ব লম্বা বারাণ্ডায় গোপীগোষ্ট্র ও সুবল মিলন কীৰ্ত্তন শুনিতেছেন। নরোত্তম কীৰ্ত্তন করিতেছেন। আজ রবিবার ২২এ ফেব্রুয়ারী ১৮৮৫ খ্ৰী: অঃ, ১২ই ফাল্গুন ১২৯১, শুক্লাষ্টমী । ভক্তেরা তাহার জন্মমহোৎসব করিতেছেন। গত সোমবার ফাল্গুন শুক্ল দ্বিতীয় তাহার জন্মতিথি গিয়াছে। নরেন্দ্র, রাখাল, বাবুরাম, ভবনাথ, সুরেন্দ্র, গিরীন্দ্র, বিনোদ, হাজরা, রামলাল, রাম, নৃত্যগোপাল, মণিমল্লিক, গিরীশ, সিতির মহেন্দ্র কবিরাজ প্রভৃতি অনেক ভক্তের সমাগম হইয়াছে। কীৰ্ত্তন প্রাতঃকাল হইতেই হইতেছে, এখন বেলা ৮টা হইবে। মাষ্টার আসিয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুর ইঙ্গিত করিয়া কাছে বসিতে বলিলেন। কীৰ্ত্তন শুনিতে শুনিতে ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়াছেন। শ্ৰীকৃষ্ণের গোচারণে আসিতে দেরী হইতেছে। কোন রাখাল বলিতেছে, মা যশোদা আসিতে দিতেছেন না। বলাই রোক করিয়া বলিতেছে, আমি শিঙ্গা বাজিয়ে কানাইকে আনিব । বলায়ের অগাধ প্রেম। কীৰ্ত্তনীয়া আবার গাছিতেছেন। শ্ৰীকৃষ্ণ বংশীধ্বনি করিতেছেন। গোপীরা, রাখালের, বংশীরব শুনিতেছে, তাহদের নানা ভাব উদয় হইতেছে। ঠাকুর বসিয়া ভক্তসঙ্গে কীৰ্ত্তন শুনিতেছেন। হঠাৎ নরেঞ্জের দিকে তাহার দৃষ্টিপাত হইল। নরেন্দ্র কাছেই বসিয়াছিলেন, ঠাকুর দাড়াইয়৷ সমাধিস্থ। নরেন্দ্রের জাফু এক পা দিয়ে স্পর্শ করিয়া দাড়াইয়াছেন।