পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘোটক s 8 × | ঘোটক কিছুই খাইতে দিবে না, কেবল উষ্ণ বা শীতলজলে ঔষধ মিশাইয় পান করিতে দিবে। হরীতকী, আমলকী, কটকী ও সচ মিশাইয়া খাওয়াইলে সারিপাতিক জর ভাল হয় । শিরীষ, fল স্বফল ও বেতস মিশ্রিত করিয়া সে বনে মন্দাগ্নির প্রতী কার হইয় থাকে। যষ্টিমধু, শিরীষ ও লক্ষীর কাথ করিয়া সেবন করিলে সান্নিপাতিক রোগের প্রতী কার হয় । নকুলের মতে ঘোটকের অরিষ্ট ।-সুস্থ শরীর ঘোটকের নেত্রের প্রাস্তভাগে নীলবর্ণ ও শরীর হইতে মৃত্তিকার গন্ধ অসিলে ২ মাস মধ্যে তাহার মৃত্যু হয় । চক্ষুর প্রাস্ত নীলের আভাযুক্ত পীতবর্ণ হইলে ৩ মাস, নেত্রে বহু বর্ণ রেখা ও স্বর ভেদ হইলে ৫ মাস আয়ু জানিবে। হঠাৎ অশ্বের জিহায় বিন্দু দেখিতে পাইলে সেই অশ্ব অতি কষ্টে একমাস মাত্র জীবিত থাকে। ঐ বিন্দুগুলি পীতবর্ণ হইলে ২ মাস, রক্তবর্ণ হইলে ৩ মাস, নানারঙের হইলে ৪ মাস, নীলবর্ণ হইলে ৫ মাস, সঞ্জীকৃতি হইলে ৬ মাস, পাটল বর্ণ হইলে ৭ মাস, চম্পক ফুলের ন্যাঞ্জ বর্ণ হইলে ৮ মাস, হরিদ্রাভ হইলে ৯ মাস, জন্তুর নায় হইলে ১০ মাস, দুর্গার ন্যায় রঙ হইলে ১১ মাস এবং বিন্দুগুলি হিমের ন্যায় শুভ্রবর্ণ হইলে ১২ মাস বা এক বৎসর ক{ল ঘোটক জীবিত থাকে । ঘোটকের জিহব। চন্দ্রকিরণের ন্যায় শুভ্রবর্ণ হইলে ৬ মাস মধ্যে তাহার মৃত্যু ঘটে । যে ঘোটকের গ্রীবার অগ্র ও অধরে পিণ্ডিক জন্মে এবং মূত্র রক্তমিশ্রিত, তাহারও ৬ মাস মধ্যে মৃত্যু ঘটয়া থাকে । চক্ষুর বর্ণ শাদা হইলে সেই ঘোড়া দশমাস পর্যক্ষ বাচিয়া থাকে । বাতরোগাক্রান্ত ঘোড়ার চক্ষু নীল বর্ণ হইলে অতি কষ্টে ৩ মাস কাল জীবম ধারণ করিতে পারে। শ্লেষ্মাক্রাস্ত ঘোটকের চক্ষু রক্তবর্ণ ও মুগের গন্ধ মদের ন্যায় উগ্র হইলে সেই ঘোটক দশমাস জীবিত থাকে । পিত্তরোগাক্রান্ত ঘোটকের চক্ষু হরিদ্রাভ হইলে আয়ু ৭ মাস জানিবে । নেত্রদ্বয় রক্তবর্ণ ও ঘন বলিয়! বোধ হইলে ঘোটকের আয়ু ৭ দিন মাত্র জানিলে । যাহার একটা চক্ষু নীল ও দ্বিতীয়ট রক্তবর্ণ তাহাকে পিত্ত রোগাক্রান্ত এবং তাহার একমাস মাত্র আয়ু জানিবে। বর্ষাকালে ঘোটক পিত্তরোগাক্রান্ত হইলে ১৫ দিন মাত্র বঁচিয়! থাকে। যে সকল লক্ষণ লিখিত হইল ইহা দ্বারা ঘোটকশরীরের কোন ধাতুর বিকার হইয়াছে, তাহ স্থির করিয়া প্রতিক্রিয়া বিধান করিতে হয় । (নকুলঅখ ১• অঃ ) অশ্বচিকিৎসায় নন্ত, পিও, ঘৃত, কাথ ও বিষ ব্যবহৃত झ ग़ । লকুলের অখচিকিৎসা ও জয় দত্তের অশ্ববৈদ্যকে এ সম্বন্ধে VI $ 2 বিস্তৃত বিবরণ লিখিত্ত হইয়াছে । [ অশ্বশাল নিৰ্ম্মাণ করিবার নিয়ম মন্দুর শব্দে দ্রষ্টব্য। ] প্রাচীন অশ্ববিদগণের মতে গ্ৰহগণের দৃষ্টি অনুসারে সময়ে সময়ে ঘোটকের অমঙ্গল ঘটিয়া থাকে । যে সকল গ্রহ অশ্বের প্রতি দৃষ্টি করেন তাহদের নাম—লোহিত্যক্ষ, বিরূপাক্ষ, হরি, বলি, সকাশী, সঙ্কাশী, সুসংস্তিত, কুবের বৈশাখ, ষড় বিধ, বরুণ, বৃহস্পতি, সোম ও স্বৰ্য্য এই সকল গ্রহের মধ্যে যে কোন গ্রহের দৃষ্টিতেই ঘোটকের প্রাণনাশ হয় । গ্রহের দৃষ্টিতে যে সকল লক্ষণ প্রকাশিত হয়, তাহা নিয়ে লিখিত হইল । হরিগ্রহের দৃষ্টি হইলে ঘোটক.শরীরের পূর্বদ্ধি কম্পিত হয়, কিন্তু অপরাদ্ধ নিশ্চল থাকে। ইহা ছাড়া ঘোটক অতিশয় খেদযুক্তও হইয়া থাকে। হরিতাক্ষের দৃষ্টিতে চক্ষুতে রক্তবর্ণ বিন্দু জন্মে ও থাইতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে । গাত্রস্বেদ, শরীরে ভারাধিক্য, সৰ্ব্বদা বমন করিবার ইচ্ছা এবং চক্ষুর উন্মীলন ও নিমীলন সহসা ঘটিয়া থাকে । ( জয়দত্তকৃত অশ্ববৈদ্যক ৫৮ অ: ) हेश छ्tज्जा डिग्न डिझ ७८श्द्र नृॉटे८ङ श्रांत ७ नानावि५ শরীরের বিকৃতি প্রকাশ পায় । এই সকল উপসর্গ দিন দিন বৰ্দ্ধিত হইয়া শেষে ঘোটকের প্রাণবিনাশ করে । এই সকল গ্ৰহদোষ নিবারণের জন্য শাস্তি কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিতে হয় । দেবতা, ব্রাহ্মণ, পরিব্রাজক, গুরু ও বৃদ্ধদিগকে বস্ত্র, গে। ও কাঞ্চন প্রভৃতি দান ও নানাবিধ সুমিষ্ট ভোজন দ্বারা সস্তুষ্ট করিতে হয় । রাত্রিকালে অশ্বশালার নিকটে চতুর্দিক মৎস্ত, মাংস, পকায় ও খিচুড়ি প্রভৃতি উপহারে বলি প্রদান করিবে এবং তিন রাত্রি, পঞ্চ রাত্রি বা সপ্তর ত্রি পর্য্যস্ত নীয়াজন করিয়া অশ্বদিগকে পৃথক পৃথক্ স্থানে রাখিয়া দিবে। এই রূপ করিলে গ্রহদোষ শাস্তি হয় । প্রাচীন হিন্দুচিকিৎসকগণের মতে অশ্ব মাংসের গুণ— উষ্ণ, বা তনাশক, অল্প পরিমাণে গুরু, বেশী অtহারে পিত্তদfহ ও অগ্নিবৰ্দ্ধক, কফ ও বলকর, হিতকর ও মধুর। (ভাবপ্রকাশ) প্রাচীন ভারতীয় জাৰ্য্যগণ ঘোটক সম্বন্ধে যতদূর জানিী ছিলেন, তাছার সারসংগ্রহ উপরে লিখিত হইল । এখন করি পাশ্চাত্য প্রাণিতত্ত্ববিদের নানা জাতীয় অশ্বের বিষয় ও অধ সম্বন্ধে অনেক অভিনব কথা লিপিবদ্ধ করিয়াছেন । অশ্ব শব্দে এ সম্বন্ধে কথঞ্চিৎ লিপিত হইয়াছে। এছাড়া প্রাণিতত্ত্ববিদ্যু গণের অনুসন্ধানে এই ভারতবর্ষেই কএক প্রকার অশ্বের অনুসন্ধান পাওয়া গিয়াছে । ইংরাজের ভারতের নানা প্রদেশে বেড়াইয়া স্থির করিয়াছেন যে ইংরাজ-শাসনে ভারতবর্ষে দেশীয় অশ্বের সংখ্যা