পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূত না চোর ট্র ○8● উপর, একটা ও ঘরের উপ্তর। আমার স্মীও ইহা লক্ষ্য করলেন। বলিলেন,—“ঐ দেখ, একটা ছিল, দটো ভূত হল। সে হতভাগা মিনসে কখনই সাহেব নয়। কোনও বাদকের সাহেবের বেশ ধরে এসেছে। সেই কালো কালো বাক্সগুলো করে ভূত ভরে এনেছিল, তা কে জানত ? মু গো মা, কি সব্বনাশ হল "—বলিয় তিনি চক্ষে অঞ্চল দিয়া কাঁদতে थाब्रम्ऊ कब्रिग्ना मिळलन। . আমি ত মহাবিপদে পড়িলাম। কি বলিয়া স্মীকে সাচ্ছনা করি ? কি বলিয়া ভয় ভাঙ্গিয়া দিই? ঘড়ি দেখিলাম, তখনও বারোটা বাজিতে কয় মিনিট বাকী। শৈলবাল। রামনাম জপ করিতে করিতে মেঝেব উপর বসিয়া পড়িলেন। আমি তখন জানালার কাছে দাঁড়াইয়া। পাবে বলিয়াছি, আমাদের বাড়ীটি চকমিলান। যে বারান্দায় উপরে যাইবার সিড়ি-দরজা আছে, সে বারান্দার ঠিক বিপরীত দিকের বারালদায় আমার শষনঘর। আমি জানালা দিয়া ওদিকের বারান্দা সমস্তই দেখিতে পাইতেছিলাম। যখন ঢং ঢং করিয়া বারোটা বাজিতে আরম্ভ করিল, তখন দেখিলাম, সিড়ির সেই দরজাটি আস্তে আস্তে খালিয়া গেল। জ্যোৎসনা রাত্রি, কিন্তু সে সময়টা একটা মেঘ থাকাতে আলোক অলপ ছিল। সেই সামান্য আলোকে দেখিলাম, শেবত বসন্ত্রাবত মনুষ,মত্তি'র মত কি একটা সিড়ি হইতে বাহিব হইয়া বারান্দা দিয়া ওদিকে চলিযা গেল। দই তিন মিনিট পলে আবার সেইটা ফিরিযা আসিয়া সিড়ির দরজা অতি সন্তপণে বন্ধ করিয়া দিল। আমি শৈলবালাকে এ কথা বলা যুক্তিযুক্ত মনে করিলাম না। কয়েক মিনিট অতিবাহিত হইলে পুনরায় দয়ার খলিয়া সেই শত্রবস্ত্রাবত মাত্তি বাহির হইল। এই সমযে আমার সন্ত্ৰী আসিযা আমার পশ্চাতে দাঁড়াইযাছিলেন তিনিও তাহা দেখিতে পাইলেন। বলিলেন—‘ও কি ?” আমি বলিলাম— ভূতই হউক, আব মানুষই হউক ওই সে। আমি একবার দেখিব উহা কি। আমার ভোজালি কই ?” বলিয়া দেওয়াল হইতে ভোজালি পাড়িয়া লইলাম। সত্ৰী আসিয়া কাঁপিতে কাপিতে আমার হাত চাপিয়া ধরিলেন। আমি সবলে হাত ছাড়াইয়া এক লম্ফে ঘরের বাহিরে গেলাম। নিমেষের মধ্যে সিড়ির দয়ারের কাছে উপস্থিত হইলাম। মেঘটা তখন অপসত হইল—জ্যোৎসনা প্রকাশ হইল। দেখিলাম সিড়ির দরজার কাছে অনেকটা পথান যেন বক্তমাখা ! তেতলার উপর হইতে যেন কাহার কাতরাণিও শুনিতে পাইলাম। লিখিতে লজ্জা নাই, আতঙ্কে শরীর কটকিত হইয়া উঠিল, মাথা ঝিমঝিম করিতে লাগিল—মনে করিলাম বীরত্বে কাজ নাই, পলাইয়া যাই। কিন্তু রহস্যের উদ্ভেদ করিবার জন্য প্রাণ পৰ্য্যন্ত পণ করিয়া, সাহস সংগ্রহ করিয়া, সিধা হইয়া দাঁড়াইয়া রহিলাম । বজ্রমটিতে ভোজালি ধরিয়া, যেন সাক্ষাৎ শমনের প্রতীক্ষা করিতে লাগিলাম। চারিমিনিট অতীত হইয়াছে। সেই শাদা ছায়াটা ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে লাগিল। মনে করিলাম, এই সময়। তৎক্ষণাৎ এক লম্ফে সেই মাত্তি'র সম্মুখে গিয়া পড়িয়া ভোজালি তুলিয়া প্রাণপণে চীৎকার করিলাম—“কে তুই বল, নহিলে খন করিব।” সেই মাত্তি’ “MyGod ”—বলিয়া পশ্চাতে সরিয়া গেল, তাহার পর অতি দ্রুতভাবে ইংরাজিতে বলিল —“আমি-আমি-আমি—বাব;–আমি !" পরিচিত কণ্ঠস্বর নিরীক্ষণ করিয়া দেখিলাম, যাহাকে বাড়ী ভাড়া দিয়াছি, সেই সাহেব ! আমি তখন হতবুদ্ধি হইয়া গিয়াছি। সেই সময় উপর হইতে আবার সেই কাতরাণি শনা গেল। বলিলাম—“সাহেব, তুমি খন করিয়াছ ?” সাহেব বলিলেন—“আমি খন করিব কেন ? তুমিই আর একটা হইলে আমাকে খন করিয়াছিলে।” আমি পায়ের কাছে দেখাইয়া বলিলাম—“এত রক্ত কেন ?” সাহেব হাসিয়া বলিলেন—“ও বঝি রক্স ? ও তো জল। এই দেখ”—বলিয়া সাহেব