উত্তর গীত্ব । Yoko শ্ৰীভগবাম্বুবাচ। ধৰ্ম্মধর্শ্বেী মনশ্চৈব পঞ্চভূতানি যানি চ । ইন্দ্রিয়াণি চ পঞ্চৈব যশ্চান্তীঃ পঞ্চ দেবতাঃ । তাশ্চৈব মনসঃ সৰ্ব্বে নিত্যমেবাভিমানতঃ । জীবনে সহ গচ্ছন্তি যাবত্তত্ত্বং ন বিন্দতি ॥ ৪৩ ॥ অৰ্জুন উবাচ। স্থাবরং জঙ্গমঞ্চৈব যৎকিঞ্চিৎ সচরাচরম্। জীবা জীবেন সিদ্ধাস্তি স জীবঃ কেন সিদ্ধ্যতি ॥ ৪৪ ॥ শ্ৰীভগবাহুবাচ । মুখনাসিকরোর্মধ্যে প্রাণ সঞ্চরতে সদা । আকাশ: পিবতি প্রাণং স জীবঃ কেন জীবতি ॥ ৪৫ ॥ বামুদেব কহিলেন, হে পার্থ ! যে পর্যাস্ত জীব আত্মাকে প্রত্যক্ষ করিতে না পারে, তাবৎকাল তাহার ভৌতিকত্বও বিনাশ প্রাপ্ত হয় না ; সুতরাং ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মরূপ অদৃষ্ট, পঞ্চভূতের সত্তাত্মক মন, ইন্দ্রিয় সমূহ ও তদধিষ্ঠাতৃ-দেবতা, ইহারা সকলেষ্ট অভিমান হেতু লিঙ্গদেহোপাধিক জীবের সহিত প্রস্থান করে। বস্তুতঃ লিঙ্গদেহে যে প্রকৃতিসিদ্ধ অভিমান আছে, সেই অভিমানষ্ট মুক্তির বিস্তু। তত্ত্বজ্ঞানের উদয়ে সেই অভিমামরূপ অন্ধকার বিনাশ প্রাপ্ত হইলে ইন্দ্রিয়াদি স্ব স্ব কারণে লয় পায় । সুতরাং যেমন অভিমানস্বরূপ অহঙ্কারের বিনাশ হয়, অমনি তৎসহ ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম অদৃষ্টও বিনাশ পাইয়া ' থাকে | ৪৩ ৷ অৰ্জুন জিজ্ঞাসা করিলেন, হে কেশব ! স্থলস্থঙ্কদেহাভিমানী জীব সমাধিস্থিত হইয়। চরাচর পদার্থ সহ অখিল বিশ্বের অভিমান পরিত্যাগ করেন ; পরন্তু কি প্রকারে তাহার নিজের ভ্রমস্বরূপ জীবত্বের পরিহার হইয়া থাকে, তাঙ্কণ কীৰ্ত্তন করুন ॥ ৪৪ ৷ ভগবান কহিলেন, হে পার্থ। বদন ও নাসা ইহাদের অত্যন্তরে যে প্রাণবায়ু নিরস্তর প্রবাহিত হইতেছে, তত্ত্বজ্ঞান জন্মিলে পঞ্চস্বকালে আকাশ সেই বায়ুকে সংচার করুত অপানেতে বিলীন করে ; সুতরাং সেই প্রাণবায়ু বিগত হইলে জীব আর কি প্রকারে জীবিত থাকিতে পারে ? বস্তুতঃ প্রাণই জীবের জীবন । প্রাণবায়ু বিগত হইলে জীবনও বিগত হয় ॥ ৪৫ ॥
পাতা:গীতা-গ্রন্থাবলী (উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়).djvu/১৯০
অবয়ব