পাতা:নারীর মূল্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৭
নারীর মূল্য

of status between the sexes entailed by polygamy, hence the use of women as labouring slaves; hence the life-and-death power over wife and child; and hence the constitution of the family which subjects all its members to the oldest male. Conversely, the type of individual nature developed by voluntary co-operation in societies that are predominantly industrial, whether they be peaceful, simple tribes, or nations that have in great measure outgrown militancy, is relatively altruistic nature”

 বাস্তবিক এ compulsory co-operation যেখানে এত ‘binding’, তা লড়াইয়ের জন্যই হৌক, আর পরকালের জন্যই হৌক, নারীর অবস্থা সেখানে তত হীন। ধর্মের গোঁড়ামি, অধর্মের অত্যাচার নারীকে যে কত নীচু করিয়াছিল ইউরোপের মধ্য-যুগ তাহার বড় প্রমাণ। প্রবন্ধের প্রারম্ভেই তাহার কতকটা ইঙ্গিত দিয়া গিয়াছি, এবং আবশ্যক হইলে আরও শত-সহস্র দেওয়া যাইতে পারিত, কিন্তু সে আবশ্যক আশা করি নাই। ধর্মের গোঁড়ামি কেন নারীকে হীন করিল, সে আলোচনা এ প্রবন্ধে অপ্রাসঙ্গিক হইবে; সুতরাং তাহাতে বিরত রহিলাম। শুধু এই স্থূল কথাটা বলিয়া রাখিব যে, ধর্মের বাড়াবাড়ির প্রধান উপাদান বিরক্তি—যা-কিছু সাংসারিক লোকের প্রার্থিত তাহাতেই আসক্তি নাই, এই ভাবটা দেখানো। বিষয়-আশয় টাকা-কড়ি অতি বদ জিনিস—নারীও তাই। “the devil’s gate”—“নরকস্য দ্বারো নারী” এইজন্যই শ্রেষ্ঠ ধর্ম-চর্চার বীজ-মন্ত্র। অর্থাৎ, যদি পরকালের কাজ করিতে চাও ত তাহাকে নরকের দ্বারস্বরূপ জ্ঞান কর, আর যদি ইহকালের কাজ করিতে চাও ত, আমাদের দেশের যে ব্যবস্থা ছিল তাই কর। যতগুলা পারো বিবাহ কর,—তার আট-দশ রকম পথ আছে, এবং মরিলে যেমন করিয়া পারো, সঙ্গে করিয়া লইয়া যাও। না পারো অন্ততঃ জুজুর ভয় দেখাইয়া তাহাকে জড়ভরত করিয়া