সৰ্ব্ব বস্তুতে ব্ৰহ্মদর্শন । ত্যাগের অর্থ কি ? দেহযাত্রা নিৰ্ব্বাহ হইবে কিরূপে ? ইহার উত্তরও ঐ পূৰ্ব্বেকার মত আপাততঃ পাওয়া যাইবে—আত্মহত্য কর । বাসনাকে সংহার কর, তার সঙ্গে বাসনাযুক্ত মানুষটাকেও মারিয়া ফেল। কিন্তু ইহার উত্তর এই,—তুমি যে বিষয় রাখিবে ’ ন, তাহা নহে ; আবশ্বকীয় জিনিষ, এমন কি, বিলাসের জিনিষ পৰ্য্যন্ত রাখিবে না, তাহা নহে। যাঙ্গ কিছু তোমার আবশ্যক, এমন কি, তদতিরিক্ত জিনিষ পর্য্যন্ত তুমি রাখিতে পার—তাহাতে কিছুমাত্র ক্ষতি নাই। কিন্তু তোমার প্রথম ও প্রধান কর্তব্য এই যে, তোমায় সত্যকে জানিতে হইবে, উহাকে প্রত্যক্ষ করিতে হইবে। এই ধন—ইহা কাহারও নয়। কোন পদার্থে স্বামিত্ত্বের ভাব রাখিও না। তুমি ত কেহ নও, আমিও কেহ নহি, কেহই কেহু নহে। সবই সেই প্রভুর বস্তু ; ঈশ উপনিষদের প্রথম শ্লোকেই যে সৰ্ব্বত্র ঈশ্বরকে স্থাপন করিতে বলিতেছেন। ঈশ্বর তোমার ভোগ্য ধনে রহিয়াছেন, তোমার মনে যে সকল বাসন উঠিতেছে, তাহাতে রহিয়াছেন, তোমার বাসন থাকাতে তুমি যে যে দ্রব্য ক্রয় করিতেছ, তাহার মধ্যেও তিনি, তোমার সুন্দর বস্ত্রের মধ্যেও তিনি, তোমার সুন্দর অলঙ্কারেও তিনি। এইরূপে চিন্তা করিতে হইবে। এইরূপে চিন্তা করিতে হইবে। এইরূপে সকল জিনিষ দেখিতে আরম্ভ করিলে তোমার দৃষ্টিতে সকলই পরিবর্তিত হইয়া যাইবে। যদি তুমি তোমার প্রতি গতিতে, তোমার বস্ত্রে, তোমার কথাবার্তার তোমার শরীরে, তোমার চেহারায়– সকল জিনিষে ভগবানকে ইাপন কর, তৰে তোমার চক্ষে সমুদয় দৃপ্ত বদলাইয়া যাইবে । ২৬৫ ,