এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপনন্দ
সন্ন্যাসীর মুখের দিকে ক্ষণকাল চাহিয়া
পায়ের ধুলা লইয়া
আজ ছুটির দিন— কিন্তু আমার ঋণ আছে, শোধ করতে হবে, তাই আজ কাজ করছি।
ঠাকুরদাদা
উপনন্দ, জগতে তোমার আবার ঋণ কিসের ভাই!
উপনন্দ
ঠাকুরদাদা, আমার প্রভু মারা গিয়েছেন; তিনি লক্ষেশ্বরের কাছে ঋণী; সেই ঋণ আমি পুঁথি লিখে শোষ দেব।
ঠাকুরদাদা
হায় হায়, তোমার মতো কাঁচা বয়সের ছেলেকেও ঋণ শোধ করতে হয়! আর এমন দিনেও ঋণশোধ! ঠাকুর, আজ নতুন উত্তরে হাওয়ায় ও পারে কাশের বনে ঢেউ দিয়েছে, এ পারে ধানের খেতের সবুজে চোখ একেবারে ডুবিয়ে দিলে, শিউলি-বন থেকে আকাশে আজ পুজোর গন্ধ ভরে উঠেছে, এরই মাঝথানে ঐ ছেলেটি আজ ঋণশোধের আয়োজনে বসে গেছে এও কি চক্ষে দেখা যায়।
সন্ন্যাসী
বল কী, এর চেয়ে সুন্দর কি আর কিছু আছে! ঐ
২১