পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এর দুই দলের মধ্যে বুঝাপড়ার চেষ্টায় প্রবৃত্ত করাইলেন কয়েকজন অ-সাহিত্যিক— যাঁহাদের সহিত কোনো সাহিত্যগোষ্ঠীর সম্বন্ধ বা সাহিত্যসৃষ্টি বিষয়ে যাঁহাদের কোনো অবদান ছিল না। এই মধ্যস্থতায় প্রধান অংশগ্রহণ করিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের দুই জন অধ্যাপক — প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ ও অপূর্বকুমার চন্দ।” (রবীন্দ্রজীবনী ৩, পৃ. ৩০৯) আধুনিক-সাহিত্য-সম্পর্কে আলোচনা সভা আহ্বান করা হয়। ৪ চৈত্র ১৩৩৪ ও ৭ চৈত্র ১৩৩৪— এই দুই দিন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। প্রথম দিনের সভায় ‘কল্লোল’-এর দল উপস্থিত ছিলেন ও শনিবারের চিঠি’র দল অনুপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিনের বিবরণী ৬ চৈত্রের ‘বাংলার কথা’ নামক দৈনিকে প্রকাশিত হয়। এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক জগদীশ ভট্টাচার্য লিখেছেন– এই বিবরণী কল্লোল-গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে কারও লেখা হওয়াই সম্ভব। এই বিবরণী পড়ে রবীন্দ্রনাথ সন্তুষ্ট হতে পারেন নি। ৭ চৈত্র তিনি আবার সভাআহ্বান করলেন। সেদিন সভার প্রারম্ভেই তিনি বললেন, “আমরা গেল বারে যে আলোচনা করেছি তার একটা রিপোর্ট বেরিয়েছে। সে রিপোর্ট যথাযথ হয় নি।” (সাহিত্য-সমালোচনা, প্রবাসী, জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৫)। তাই কবি দুই দিনের বক্তব্য স্বয়ং লিপিবদ্ধ করে রাখেন। প্রথম দিনের বক্তব্য বৈশাখের (১৩৩৫) ‘প্রবাসী’তে “সাহিত্যরূপ’ শিরোনামায় প্রকাশিত হয়। এই সাহিত্য আলোচনার দ্বিতীয় দিনে দুই পক্ষই তাদের পাণ্ডাদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও উপস্থিতির তালিকায় ছিলেন—অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রমথ চৌধুরী, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, অপূর্বকুমার চন্দ, প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ, অমল হোম, নীরদ চৌধুরী, সজনীকান্ত ও প্রমুখ বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও অধ্যাপক ও সাহিত্য রসিক। > Obr