ওর প্রথম রচনা হয় তা’র কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ সংগ্রহ ক’র্তে পেরেচেন কি?—কী ব’ল্লেন? স্বর্গে আপনাদের ইতিহাস নেই? আপনাদের সমস্তই নিত্য?—সুখের বিষয়! সুরবালকদের তারিখ মুখস্ত ক’র্তে হয় না—কিন্তু বিদ্যাচর্চা ওতে করে কি অনেকটা অসম্পূর্ণ থাকে না? ইতিহাস শিক্ষার উপযােগিতা চার প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত করা যেতে পারে।— প্রথম, ক—
মনােযােগ দিচ্ছেন কি?— (স্বগত) গান শুন্তে মত্ত তা’র আর মন দেবে কী ক’রে? পৃথিবী ছেড়ে অবধি এঁদের কাউকে যদি একটা কথা শােনাতে পেরে থাকি! শুন্চে কি না শুন্চে মুখ দেখে কিছু বােঝ্বার জো নেই—একটা কথা ব’ল্লে কেউ তা’র প্রতিবাদ করে না, এবং কারাে কথার কোনো প্রতিবাদ ক’র্লে তা’র একটা জবাব পাওয়াই যায় না। শুনেচি এইখানেই আমাকে সাড়ে পাঁচ কোটি সাড়ে পনর লক্ষ বৎসর কাটাতে হবে। তা হ’লেই তো গেচি! আত্মহত্যা ক’রে যে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে সে সুবিধাও নেই—এখানকার সাপ্তাহিক মৃত্যু তালিকা অন্বেষণ কর্তে গিয়ে শুন্লুম এখানে মৃত্যু নেই। অশ্বিনীকুমার নামক দুই বৈদ্য যে পদটি পেয়েচেন ওঁদের যদি বাঁধা খােরাক বরাদ্দ না থাক্তো তা হ’লে সমস্ত স্বর্গ ঝেটিয়ে এক পয়সা ভিজিট জুট্তো না। তবে কী ক’র্তে যে ওঁরা এখানে আছেন তা আমাদের মানুষের বুদ্ধিতে বুঝ্তে পারিনে। কাউকে তাে খরচের হিসাব দিতে হয় না, যার যা খুসি তাই হ’চ্চে। থাক্তো একটা ম্যুনিসিপ্যালিটি,এবং নিয়মমত কাজ হ’তো তা হ’লে আমিই তো সর্ব্বাগ্রে ঐ দুইটি হেল্থ অফিসারের পদ উঠিয়ে দেবার জন্যে ল’ড়্তুম। এই যে রােজ সভার মধ্যে অমৃত ছড়াছড়ি যাচ্ছে, তা’র একটা হিসেব কোথাও আছে? সেদিন তাে শচীঠাক্রুণকে স্পষ্টই মুখের উপর জিজ্ঞাসা ক’র্লুম, স্বর্গের সমস্ত ভাঁড়ার তাে আপনার জিম্মায় আছে— পাকা খাতায় হােক খসড়ায় হোক তা’র কোনাে একটা হিসাব রাখেন কী