পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ ধারণা আদায় আদপেই ছিল না ; এক্ষেত্ৰে খেলু সন্ধ্যালোকার দি গাম্ভীৰ্য্যটুকুর মুখোমুখি বে আমরা তার ভবিষ্যৎ জীবনথানিকে আমাদের আশ আমাদের উীপনা দিয়ে মণ্ডিত করে ভুলতুন । উৎসাহের আবেগে তার চোখ দুটি অললে হয়ে উঠত। মাথে মাকে সে তার তপ্ত হাত দুখানি দিয়ে আমার খানি হাত চেপে আমার সমতটুকু অনুভূতি তার সেই স্পৰ্শটুকুর মধ্যে আমি নিঃশেষে জুবিয়ে দিতুম, আমার চোখের দৃষ্টি অশহলে আলত । কিন্তু এর চেয়ে বেশী কোনোদিন কিছু পাইনি। যেটুকু অমনি পেরেছি, আপনা হতে যে সুধাপাত্ৰ আমার পিপাই অন্তরের কাছে উঠে এসেছে, তাই নিয়ে আমি মাতাল -- আয়ো যে পাওয়া চাই, -অত বড় একটা কথা ভাবতেও বুকটা হুবছর করে উঠত। পারতুন না—সংহ হো না স্বায়রে ; ভুলকে যতক্ষণ ভুলে থাকি, ততগণ তার মতো বন্ধু আর কেউ নেই ; কিন্তু একবার সেডাঙ্গলে জাজো কানে বাজছে আমার সেই কাতর মিনতি অর একটা গান নিশীথবা, আর একটা একটা সুধায় সমুদ্ৰ বিশ্ব-সংসার বেছিল, আমিও বেছিলুম। মানুষ ময়ে’ ত ভাসে, আদিও তা মরেছিলুম-কিন্তু এমন করে। তলিয়ে গেলুম কেন ? হঠাৎ পাওয়ার আহবান এল। পূজাবি যেমন করে গেীর শূন্ত বেণীষ্টর ওপর লুটিয়ে পড়ে, তেমনি করে ভূমি ঘরের ভিতের উপর উপুড় হয়ে লুটিয়ে পড়লুম, যেখানে 1র পারে চিহ্ন পড়েছে সেই জায়গাটিকে বুক দিয়ে সম্পৰ্শ সমস্ত বুকটায় কতগুলি তৃষাতুর চুন সাপের মতো ফণা ধরে উঠ সুরমা চুপিচুপি জামাব পাশে এসে বসেছিল— আমি টেপ গাইনি ; যখন টেল পেলুন তখন অস্ত্ৰ প্ৰাচীর কেমন গে| এ সংসারে শ্ৰ, মুছাবার মানুষ যদি না থাকতো, তবে বোধহয় অশ্ৰও থাকতো না । সে কেবল করে “রেছি ?” বেছি — যদি মৃত্যু—তবে, মৃত্যুতে আমার ক্ষে আমার একটি মাসতুত বোন, বেচাদি অনেকদিন সে বঃে "কিন্তু এ মৃত্যু যদি সুলায়, যদি—যদি একটা রোগে ভূগে, পশ্চিমে ঘুত্বে-টুরে সুস্থ হয়ে কলকাতায় এসে. দুঃসহ realityর মধ্যে কোনোদিন বেঁচে উঠি, তায় সে উপলক্ষে আমাদের বাড়ীতে মাগোট চোখে পইনে ? সেদিন ছিল পাট। ওকে অনেক কষ্ট তার স্বামীর হা করে তার মুখের দিকে চেয়ে থেকে ছাড়িয়ে আমাদের গানের মজলিসে নিয়ে এলুম মধ্যাহ-সুৰ্য্যের মতো প্ৰথা বলে লোকে তার দিকে চাইতে কথা রইল সেখানে তাকে একটা জিনিষ দেখাব । পারে না ; আমার মনটাও ই করেই এতদিন সব ভয় নিশীথ তখন গান ধরেছিল। মেহেরা গান্ধ, সে গানের ভাবনার প্রতি বিস্তুপ হয়ে উঠেছিল। জীবনে সেই প্ৰথম আহাল থেকে অলঙ্কারের শব্দ কুমকুনিয়ে মায়া তুলে ওঠে বার মনে হলো নিশীথের সঙ্গে একটা বোঝাপড়া করা আগুনে তো আর ভেজাল নেই, তার গলা থেকে সেদিন wরকার ; কিন্তু প্ৰাণ মন্ত অবাঙ্গ সঙ্কোচের প্রাচীর গলগল করে আগুন গলে পড়ছিল সে আগুনে তার টা গায় মাথা খুঁড়েও তাকে একটু টলাতে পারলে না। যাইহোক আমার তরল মনটা বাণের মতোই উধাও হয়ে অার একটি লোকের কথা এখানে বলা দরকার । , উড়ে গিয়েছিল। নিশীথকে দেখিয়ে সুকুমার কানে কানে তিনি আমার মাষ্টা গু, আমার গুই ! এতদিন পুরে তোমায় চিণ্ডে পেরেছি এই আনার গোত। বুক দিয়ে পড়ে সে কি? — মানুৰ ?” তিনি আমার সাহায্য করতেন তার কাছে চাইতে পাি তা সাত কি জানোয়াৱ ? ক না এই কথা নিয়ে আমার মনে যতক্ষণ নাড়াচাড়া এরপর সে স্মার সেখানে বসল না, কিছুতেই তাকে চলত ততক্ষণে তার কাছ থেকে সাহায্য আপনি এসে ধরে রাখতে পাবলুম না । বলে, এসেন্সের গদ্ধেতার মাথা ছুটত । কিন্তু যা লোকে চেয়েও পায় না, আমি অনি ঘরে ; বলে’ জোর কয়ে উঠে গেল। পেয়েও সেটাকে কেবল অপমান করেছি । যতদূর পারি তাকে এড়িয়ে চতুম । আমাদের যতটুকু দাদার সঙ্গে কথা বদ্ধ হলো। কোন মুখে তার কাছে প্ৰয়োজন তার সঙ্গে আমাদের সম্বন্ত কেবল ততটুকু, এ আর ধাৰ ? নিশীথও আর আসত না কথাটা থাকে চক্ৰ তাকে বুদ্ধিয়ে দিতুম । আমাদের মনে হোত অভিশাপ সবার সামনে হাসিমুখে কিতে প্ৰত্যেক কাজে প্ৰত্যেক ব্যবহারে তার প্রতি একটা হোত এই ছিল আর-এক শান্তি । কিন্তু পালু উৎকট অবহেলা গা ঢাকা দিয়ে থাকত । একদিন মুখ ফুটে দাদাকে নিশীথের খবর জিজেস ফয়জুন কিন্তু তার প্রতি এই অবহেলার ভাবটা আমার মনট দাদা একটু গম্ভীর হয়ে উত্তর করলেন তোমায় বুধি বলিনি, অবধি শিকড় ছড়ায়নি তা আমি পরে বুঝেছিলুম। এটা তার অসুখ। এমনি স্বাপর আমি, এ খবর শুনে ভাবনা ছি বাইরের জিনিষ, বাকে নিয়ে বিচার চলে ন হওয়া দুরে থােক মনে হলো একটা ভায়ী বোকা যেন ষপ তাই একদিন হঠাৎ আমার নারী প্ৰাণ অলক্ষ্যে তার করে আমার বুকের উপর থেকে নেমে পড়ল । একটা মহিমােয় সচেতন হয়ে উঠল এবং আদি তাতে একটুও নিঃশ্বাস নিয়ে ভাবলুম-যাক্ তবে সে য়াগ করেনি হয়ে গেলুম না বাম—“তুমি আমার নিশীথবাবুদের বান্ধী নিয়ে চল। মেহেদের কতদূর স্বেচ্ছানুবৰ্ত্তিতার অধিকার দেওয়া টা আমি কোকের মাথায় বোকার মতো বলিনি বেশ উচিত এই নিয়ে সেনি তৰ্ক উঠেছিল। একপক্ষে দাদা করে তেবে, মনের সমস্ত আগ্ৰহ দিয়েই বলেছিলুম। কিন্তু জাৱ নিশীথ, অন্যদিকে মাষ্টা । অতি ধী শাস্তভাবে দাদা হা করে আমার মুখের দিকে চেয়ে ইলেন । আৰি তিনি তার সুন্দর সবল যুক্তিগুলাকে দাড় কালেন, আর আবার বন নিয়ে চল তখন তার হুস হলো বলেন তারা অর্থহীন যুক্তিহীন বিএ পের আধাতে সেগুলোকে “তোমাৰ যাওয়াটা ভালো দেখায় না অসি । ভাঙ্গৰে । এই দুঃসহ দৃষ্টতার মধ্যেও তার চোখ এটি ভালো মন্দের কী সুন্দর বিচার । সমাজ আমাদের একটা অনাবিল হুৈৰ্য্যেৱ জ্যোতিতে সন্ধাতারার মতো প্ৰাণের সম্বন্ধটাকে আজো স্বীকায় করেননি, সেইজ সমুদল। আজ তার এই তাৰ প্ৰতিষ্ঠাব পায় আমার সমাজ-সম্বন্ধের চেয়ে প্ৰাণের সম্বন্ধ থাটো । মুখ, সে এতদিনের জমাট অহঙ্কার ধূলিসাৎ হয়ে গেল, আমি স্থিা আমার একটুখানি সমবেদনার আশ্ৰতে এই পদ্মপারেন্থ থাকতে পারলুম না, বাম “তোমাদের আশ্ৰিত বলে তোমা যার যাত্ৰাপথখানি হত স্নিগ্ধ হয়ে উঠবে, কিন্তু তাকে ক জ এমন করে অপমান ক'ছ দাদা, কিন্তু চিরদিন আমার দেখতে যাওয়া নিষেধ ; সমাজের বিধি । এটা ভগবানে কাজ যায়া করে তাদের চোধ ফোটাবার অস্ত্ৰ তাৰ অশালায় করে দিয়েছেন বিধাতা, আর -একবার নিৰ্দেশ করবেন ভালো করেই মজুত থাকে বলে’ সে ঘর থেকে বেরিয়ে সমাজ আর আমার মধ্যে আমি বলে যে একটা জিনিষ চলে এলুম। নিজের ঘরে এসে মনে হলে এ কী করেছি ? অাছে,— সেটাকে চেপে পিষে ‘মেরে ফেলে দেব, কী দরকার ছিল এর ? মাষ্টা আমার কে যে তা আছে এইত ? ধ হতে লাগল বার দিয়ে সে আমার জীবনের আমার সুখদুঃখ নিয়ে সবাই ভাৰছে, এক আমি ছাড়া । পৃষ্ঠা থেকে আজকের এই তিটাকে মুছে ফেলে দি। কী আমার জন্যে এক আমি ছাড়া আর কারো চোখেই মুৰ । মনে করেছে নিশীথ ? যে যদি মনে করে থাকে আমি নেই। দাদাকে বৰ নিশীথবাবুর অসুখের কথাটা তৰে আমাকে না জানালেই হোত” দাদা তার ব্যথিত দৃষ্টিখানি আকাশে সেদিন মেঘ মেছিল একটা অন্ধকারের নীরবে আমার চোখের উপর নামিহে মুখ ফিরিয়ে চলে হলের নীচে সমস্ত পৃথিবী দেীন বিষ হয়ে পড়ে ছিল গেলেন তারপর থেকে জোর-করা হানি ও অার হাসতে দোর দিয়ে, আলো নিধিৱে য়ে , পড়লুম। বৃষ্টি যখন পরম না, আমার চোখের দিকে চেয়ে দাদার চোছটিও নাম তখন মনের ঘোর ও অশলে রে হাতা হয়ে গেছে