পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—ভাদ্ৰ, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড গুপমর রাজবালা হাত ধরিয়া ইহা গিয়া আপনার প্ৰকাণ্ড বীরেন একবার তাহার মুখের দিকে চাহিয়া দেখি অক্টালিকার সুসজ্জিত একঘর হইতে আর-এক বলিল—এস ৱে লইয়া বেড়াইতে লাগিলেন । এক একটা ধর দেখান রাজবালা যাইতে যাইতেও চকিত নেজে চারিদিকে স্বায় রাজবালাকে জিজ্ঞাসা করেন—কেমন রা, তোমার চাহিয়া দেখিতেছিল কোনো আড়াল হইতে গুণময় গোপের খোঁচা বাহির হইয়া আসিতেছে কি না । রাজবালা দ্বিত মুখ নত করিয়া থাকে ; কিন্তু তাহাতে ( ১১) তাহার নিতি নাই, গুণময় পীড়াপীড়ি করেন -বল, জবাব রাজবালাকে সঙ্গে লইয়া বীরেন্দ্ৰ দয়াদেবীর যা আসিল সেখানে জি বালার মা ছিলেন না, মায়া ছিল। যাজবালা নাড়িয়া জানাইলেও ধীয়েনের সঙ্গে রাজবালাকে ধরে প্রবেশ করিতে দেখিয়াই ঘাড় সম্মতি গুণময়ের মনঃপূত হয় না, বলেন—আমার সঙ্গে কথা কও ভাই । মায়া বলিয়া উঠিল— বীরেন-দা, ও কে ? সমস্ত দেখাইয়া গুণময় বলিলেন--রা, এ সমস্ত যত্ন ঘর, ধীরেন রাজবালার পরিচয় দিতে বলা বোধ aি সমস্ত জিনিস, তোমার। আমি তোমায় বিয়ে করব, তুমি একবার রাজবালার মুখের দিকে চাহিয়া হাসিল; স্না জামায় রাণী হবে বালাও মুচকি হাসিয়া মাথা নত কলি দয়াদে রাজবালা মনে করিল ভগ্নীপতি তাহার সহিত রসিকত বলিলেন ও তোর মাসী হয় করিতেছে । সে মৃদু হাসিয়া লজ্জিত মুখ নত করিল মায়া অবাক হইয়া রাজবালার দিকে চাহিয়া হিল ইহা দেখিয়া গুণময়ের মনে আগুন ধরিয়া উঠিল, তিনি সে বুৰিতে পারিতেছিল না এই মাদী আবার কোথা হইতে গণেশের ড়ের মতন দুখানি থাটো থাটো স্থল বাহ বিস্তার কথন আসিল, এবং আসিয়াই সৰ্ব্বাগ্রে সে বীরেন-দাদা সঙ্গে ভাব করি। ফেলিল কেমন করিয়া । ফরিয়া রাজবালাকে ধরিতে গেলেন । রাজবালা “বাবারে বলিয়া আঁকাইয়া উঠিা সেখান হইতে উদ্ধশ্বাসে পলায়ন বীরেন দয়াদেবীকে বলিল—ম, দিদিমা কোথায়, এ খুঁজছে মাসিমা ঠাকুরু-রে জপ করতে গেছেন, নিয়ে যা । ঘর-বারান্দা-দালানসিড়ির গোলকধাঁধা পার হইয়া সে রাজবালা লজ্জিত মুখ ধীরেনের দিকে ঈষৎ তুলি৷ বে কোথায় পিয়াছিল এবং কোন পথে ফিরিলে সে আবার বলিৰা—আমি দিদির কাছেই থাকি । জানায় মায়ের পোঁছতে পাঞ্জিবে বা দয়াদিদির কাছে দয়াদেবী মোহিনীৰে বলিলেন—আর বোস । মায়া, জাহা সে ঠিক করিতে না পারিয়া. আনায়-বন্ধ হরিণীর মতন বল তোর মাসীকে জলখেতে দেবে ক্যালকাল করিয়া চারিদিকে চাহিতে -চাহিতে এক ঘর হইতে মায়া ঠোঁট লাইয়া বলিয়া উঠিল--বীরেনদা বলুক অপর ধরে চুটিয়া বেড়াইতে লাগিল এক-একটা ঘরে না, ওর সঙ্গে আগে থাকতে ভাব করা হয়েছে সালসই আঙ্গনায় নিজের রচকিত মূৰ্ত্তি দেখিয়া সে চমকিয়া উঠে ; কান্নায় তাহার বুক ফাটিয়া পড়িতে চাহে ক্লাবাল হাসিয়া অপাঙ্গে একবার ধরেনর দেিক, কিন্তু কাল্লার তাহার অবসর নাই । এত বড় বাড়ী — একবার মায়ার দিকে, একবার দয়াদেবীর দিকে চাহিদ, ঘরে অরণা—একটা লোক কিন্তু কোথাও নাই যাহার তাহার টানা-টানা চোথ চুটি এক চমকে চারিদিকে শীর স্থায় বেলিয়া গেল। আশ্ৰয় সে লইতে পারে, যাহাকে সে পথ জিজ্ঞাসা করিতে তারপর সে ধীর মৃদু স্বরে বল আমি এখন কিছু খাব ন দয়াদেবী বলিলেন—তবে মায়ার সঙ্গে খাস । জার রিতে ঘুরিতে সে দেখিল দালান দিয়া বীরেন সম্মুখের যাইতেছে । রাজবালা চুটিয়া গিয়া ব্যাকুল হইয়া বীরেনকে এইখানে বোস রাজবালা, দয়াদেবীর পায়ের কাছে বসি। পাৰে হাত লিল—তুমি আমাকে মায়ের কাছে নিয়ে চল না । বুলাইয়া দিতে লাগিল ৫ম সংখ্যা] দুই তার বীরেনও দাদেবীর পদসেবার উপলক্ষ করিয়া ব্লাজ বালা পাশে গিয়া বসিল ; রাজবালা তিমুণে অপাঙ্গে রেনের দিকে একবার চাহিয়া একটু তফাতে সরিয়া তারপর ? পাৱে হাত বুলাইতে বুলাইতে বীরনের অাঙল তারপর কি বলিলে তাহার যাত্ৰাটা সেদিনকার মতন বার রাজবালা হাতে ঠেকিতে লাগিল এক একবার স্থগিত থাকে বীরেন্দ্ৰ তাহাই খুজিতেছিল দাদেী শৰ্ম্ম লাগে অার রাজবালার মুখ লাল হইয় উঠে, মাথা বীরেনের উত্তর’না পাইয়া আবার জিজ্ঞাসা করিলেন—তা কিয়া পড়ে রাজবালা বীরেনের হাতের গতির অভি. পরদিন কি ? মুখেই নিজের হাত চালাইতে চায়, কিন্তু ধীরেন বারবার বীরেন খতমত খাইয়া তাড়াতাড়ি বলি—কুৰা দিয়ে হাতের গতি বদলাইয়া বাজবালা হাতের বিপরীত —কুরবার তা জানি। কোন তিথি দ্যাখ না । গী করিয়া লইতেছিল এবং মধ্যপথে রাজবালাৰ হাতের —ত্ৰয়োদশী কাছি আসিয়া বীরেনের একটা-দুটো আঙুল হঠাৎ —সৰ্ব্বসিদ্ধি তেরোেদশী। শুকুরবােরই দুই বাস। এই ইয়া পড়িতেছিল এই তৰুণ যুবকের এই খেলায় কদিন তুই একটু লুকিয়ে থাকিস । গোষ্ঠীর মনে কম কৌতুক উদয় হইতেছিল না উনি টেৱ পাবেন না, আমার ধরেই থাকি ; এঘরে ত তিনি কখনো আসেন না। অন্তর হাসিতে খিলখিল-খিলখিল করিয়া বাজি দ্যাখ মায়া, তুই ওঁর কাছে যেন বলে কেলিসনে যে তোর তে চাহিতেছিল ক্ৰমে সঙ্কোচ দুখ কবিয়া সাহস করিয়া বীরেন-দা কলকাতা যায়নি । বলা থাকিয়া থাকি বেনের অভিসারী আঙুলের মায়া গোজ হইয়া বসিয়া চোখ পাকাইয়া, ধীরেন ও উপর মৃ টোকার তিরস্কার বর্ষণ করিতে লাগিল এবং কি বােৱ উচ্ছসিত হানি চাপিতে-চাপিতেও মৃদু খিখিখিনি রাজবালার কৌতুক লীলা দেখিতেছিল, মায়ের কথা রিয়া উঠিতে লাগিল হা কি না কিছুই বলিল না। এই যে ঐতির কৌতুকলীলা দয়াদেবীর পায়ের উপর পাদির উপর বীৱেত্রের অত্যন্ত রাগ হইল, এণ্ড তাড়া ীিয় চলিতেছিল তাহা তাহার অবিদিত থাকিতেছিল না, তাড়ি সৰ্ব্বসিদ্ধি ক্ৰয়োদশী না আসিলেই কি চলিত নী নিউদ্বিগ্ন হইয়া গভীর দীৰ্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন— বীরেন নিজের উপরও খুব রাগ করিল—ত্ৰাহশ অশেষ৷ বী, কালকেই তুই কলকাতা যাবি ত ? মা সে পাঁজিতে না দেখিয়াও বলিতে পালি, এবং পাঁজি বীরেন্দ্ৰ-হঠাৎ আহবানে চমকিয়া উঠিয়া বলিল-স্থা মা দেখিয়া বলিল কিনা ত্ৰয়োদশী এবং তাহা তাহার কপালখণে কি রক্ষে থাকবে ? হইয়া পড়িল সৰ্ব্বসিন্ধি ! বীরনের অকারণে কেন্দ্ৰ অত্যন্ত বীরেন ব্যথিত দৃষ্টি কান্না আসিতে লাগিল ত রাজবালার মুখের দিকে চাহিল সে তাড়াতাড়ি উঠিয়া পাণি তুলিয়া লাও অৰ্দ্ধেক বুধিয়া এবং অৰ্দ্ধেক না কিয়া ভয়

  • রাথিয়া ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল ।

মতায় দৃষ্টি ভবিয়া বীরনের দিকে চাহিল ; তারপর মায়া এতক্ষণ আড়ষ্ট হইয়া বসিয়া ব্লাগে ফুলিতেছিল। মিলিত দৃষ্টি পুষ্পাঞ্জলির মতন দয়াদেবীর চরণের বীরেন ঘর হইতে বাহির হইয়া যাইবা মাত্ৰই সেও মায়েত থাট হইতে এক লাষে নামিয়া চুটিয়া গিয়া বাঘিনীর মতন দেবী আবার দীৰ্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন—একবার ধীরেনের উপর কাঁপাইবা পড়িল এবং দুই হাতে চ স্কিল দিখানা দেখ ত বৰ্ষণ করিতে করিতে কেৰলি বলিতে লাগিল—কেন কেন বীরেন পাঙ্গি পুলিয়া ঢোক গিলিয়া মিখা করিয়া তুমি কেন ওর সঙ্গে বীরেন হির হইয়া ধাড়াইয়া মায়ার মাৱ খাইতে লাগিল । তবে কাল কিছুতেই তোয় যাওয়া হবে না। পরশু ? তাহার মনের মধ্যেকার জমা অক্ষ এই একটা উপলক্ষ পাইয়া তাহার