প্রথম প্রজাপতি ব্রহ্মা আর বক্ষস্থলে শ্রীবৎস-চিহ্নধারী পুরুষোত্তম নারায়ণ তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। তাঁহাদিগের মুখ-বিনির্গত জয়ধ্বনিতে শিবের মহিমা তেমনি বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, যেরূপ ঘৃতাহুতি দ্বারা অগ্নির ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি হয়॥ ৪৩॥
এই তিন দেব অর্থাৎ ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর, ইঁহারা একই শরীর, কেবল তিন মূর্ত্তি রূপে পৃথক্ হইয়াছিলেন, ইঁহারা প্রত্যেকেই প্রধানও বটেন, অপ্রধানও বটেন, কখন বিষ্ণু অপেক্ষা শিব প্রধান, কখন শিব অপেক্ষা বিষ্ণু, কখন ব্রহ্মা তাঁহাদিগের উভয় অপেক্ষা, কখন বা তাঁহারা উভয়ে শিব অপেক্ষা, প্রধান বলিয়া পরিগণিত হয়েন॥ ৪৪॥
ইন্দ্র আদি দিক্পালগণ আপনাদিগের রাজচিহ্ন সমস্ত পরিত্যাগ পূর্ব্বক তাঁহার নিকট উপস্থিত হইয়া নন্দীকে সংকেত করিলেন যে প্রভুর সঙ্গে দেখা করাইয়া দেওয়া হয়; নন্দী দেখাইয়া দিলে, তাঁহারা কৃতাঞ্জলি পুটে প্রণাম করিতে লাগিলেন॥ ৪৫॥
শিব ব্রহ্মার প্রতি কিঞ্চিৎ মস্তক সঞ্চালিত করিলেন, হরির সহিত আলাপ করিলেন, ইন্দ্রের প্রতি ঈষৎ হাস্য করিলেন, আর অন্যান্য অশেষ দেবতার প্রতি দৃষ্টিপাত মাত্র করিলেন। এই রূপে যে যে প্রকার সম্মানের উপযুক্ত, তাহাকে তিনি তদনুরূপ সম্মান দ্বারা আপ্যায়িত করিতে লাগিলেন॥ ৪৬॥
সপ্তঋষি তাঁহার সম্মুখে আসিয়া জয় হউক বলিয়া আশী-