পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭৮
বত্রিশ সিংহাসন

নিরাশ হইয়া বাটীতে ফিরিয়া আসিল। গৃহে আসিয়া দেখিল তাহার কন্যা যৌবনবতী এবং বিবাহের যোগ দশাপ্রাপ্ত হইয়াছে, অতএব কি প্রকারে তাহার বিবাহ দিবে এই দুর্ভাবনাই প্রবল হইল। তাহার ভার্য্যা কহিল তুমি অনেক রাজসভা ভ্রমণ করিলে, কি উপার্জন করিয়া আনিয়াছ। স্তুতিপাঠক কহিল আমি অকেন রাজসভা ভ্রমণ করিলাম যথার্থ, রাজারা আমার যথোচিত মর্য্যাদা করিলেন, কিন্তু আমার অদৃষ্টে ধন নাই, এই জন্য কোন স্থানে কিছু প্রাপ্তি হয় নাই। কেবল রাজা বিক্রমাদিত্যের সভাতে যাওয়া হয় নাই, তাহার নিকটে একবার গমন করিলে, অন্তঃকরণের ক্ষোভ দূর হয়। তাহার বনিতা কহিল তুমি আর কোন স্থানে যাইও না, সন্তুষ্ট হইয়া গৃহে বসিয়া থাক, অদৃষ্টে ধন থাকিলে এইখানেই পাইবে। ভাট বলিল সে কথা প্রকৃত, কিন্তু শুনিয়াছি রাজা বিক্রমাদিত্য অতি দয়ালু, কোন ব্যক্তি তাহার নিকটে উপস্থিত হইলে কখন নিরাশ হইয়া আইসে না।

 ইহা বলিয়া ভাট সিদ্ধিদাতা গণেশ স্মরণ পূর্ব্বক রাজা বিক্রমাদিত্যের সভায় গমন করিল। উপস্থিত হইলে, রাজা তাহাকে প্রণাম করিলেন। ব্রাহ্মণ আশীর্বাদ করিয়া বলিল মহারাজ আমি আপনার নামের সৌরভে এখানে আসিয়াছি, আপনি মর্তলোকে ইন্দ্রাবতার, এবং পরোপকারী, পৃথিবীতে আপনার তুল্য দানশীল মনুষ্য আর নাই। রাজা সভায়