পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজাম উলমুলক আসাহ___:_d বিদ্রোহী ইষ্টয়া উঠিলে তিনি নিজ পুত্র গাজী-উদ্দীনকে উীরি । পদে আপনার প্রতিনিধিরূপে নিযুক্ত করিয়া দাক্ষিণাত্যে যাইরার মানা করিলেন। তিনি সম্রাটের করুণাপ্রার্থনা করিয়া, সুবা হায়দরাবাদে নিযুক্ত নাজিম মুবারিজ খাকে ৪ হাজারী পদ ও ইমাদ-উলুমুলুক মুবারিজ খাঁ বাহার-হিজবর-জঙ্গ উপাধি দেওয়াটলেন । যে মুবারিজ এতদিন বিশ্বাসের সহিত নিজামের অধীনে কাৰ্য্য করিতেছিল, সে আজ এতাদৃশ সন্মান লাভে গণিত হইয়া উঠিল এবং আপনাকে দাক্ষিণাত্যের সুবাদার জ্ঞান করিয়া নিজামের অধীনতা উচ্ছেদ করিবার জন্য অগ্রসর হইল। নিজাম মালব অভিমুখে প্রস্থান করিলে, তাহার শত্রুপক্ষী- | য়ের সম্রাট মহম্মদ শাহের নিকট র্তাহার নামে মিথ্যা কতকগুলি অপবাদ দিয়া অবিবেচক সম্রাটের কাণ ভারি করিতে লাগিল। তাছাদের এই হিংসার ফলে, অবশেষে করম্-উদ্দীন খ) নামক জনৈক ব্যক্তিকে উজীর মনোনীত করা হইল। নিজাম যখন পথিমধ্যে অবগত হইলেন যে, তাহার পুত্রের নিকট হইতে উল্পীরি (পদ) কড়িয়া অপরকে দেওয়া হইয়াছে, তখন তিনি দিল্লীর পদোন্নতির আশা ছাড়িয়া দক্ষিণাত্যে । নিজামরাঙ্কা স্থাপনে কৃতসংকল্প হইলেন । মালবে উপস্থিত হইয়াই নিজাম মুবারিজকে পত্র লিখিলেন, এবং নিজাম দ্বারা তিনি যে উপকৃত হইয়াছেন, তাহাও উল্লেখ করিয়া তাহাকে বিশেষ ভৎসনা করিলেন । মুবারিঞ্জও ঔদ্ধতা সহকারে প্রত্যুত্তর দিলেন। ইহাতে উভয় পক্ষে যুদ্ধের স্বত্রপাত হইল। আরঙ্গাবাদ হইতে ৪০ মাইল দূরে বেরারের অন্তর্গত 'সকর-খেলড়া’ নামক স্থানে যুদ্ধ হয়। দাউদুখা-পাণীর ভ্রাতা বাহাদুর খাঁ আসিয়া মুবারিজের সহিত যোগ দেন। উভয়েই যুদ্ধে পরাজিত এবং মুবারিজ লপুত্র নিহত হন। খাজা আহ্মদ খা নামে তাহার একট পুত্র যুদ্ধক্ষেত্রে মাহত পাইয়। পলায়ন করে এবং মহম্মদনগর দুর্গে যাইয়। আশ্রম প্রাপ্ত হয়। লিঙ্কাম আরঙ্গাবাদ হষ্টতে হায়দরাবাদ অভিমুখে অগ্রসর হইয়া এষ্ট বালককে অর্থ ৪ জায়গীর দানে সন্তুষ্ট করিয়া, তাহার নিকট হইতে হর্গের চাবি লইলেন এবং ! নিজে দুর্গ অধিকার করিলেন। | নিজাম তাহার জীবনে কখনও দিল্লীর সমাটবশের | तिङ्गकां5ान्नैौ श्न मोहे । निर्झौश्वग्न भश्यन-ताश् टैझिाद्र डेझैौद्रপদ কড়িয়া লইলেও তিনি তাহার প্রতিহিংসা গ্রহণ করেন নাই। দিল্লীর রাজকীয় কাৰ্য সংক্রান্ত যে কৰ্ম্মে তিনি হস্তক্ষেপ করিয়াছিলেন, তাহাতে তৈমুর-বংশের গৌরব বতি | হইয়াছিল। তিনি স্বয়ং দাক্ষিণাত্যের শাসনভার গ্রহণ করিলেও ; দিল্লীর সহিত তাছার অসম্ভাব ছিল না। সম্রাট মহম্মদ-শাহ ; নিজাম-উল-মুলক আসফজাহ র্তাহার উপর গ্রীষ্ট হইয়া আসঞ্জাৰ্ছ’ উপাধি এবং বহু হস্তী ও মণিমুক্ত দিলেন। এ ছাড়া তাহাকে আবার আহ্মদাবাদ রাজ্যের সুবেদারপদে নিযুক্ত করিলেন। নাদিরশাহ যখন ভারত আক্রমণে আসিয়া আটক অধিকার করেন, তখন নিজাম সম্রাটু মহম্মদশাহের উকীল-উস্-স্বলতান ছিলেন। আমীর-উল-ওমরা খা-দৌরাণের মৃত্যু হইলে তিনি ‘মৗরবী'র পদে নিযুক্ত হন। নাদির শাহ দিল্লীর সম্মুখবর্তী হইলে, নিজাম খা-দৌরানের পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া তাহার সম্মুখে উপস্থিত হন। এই সময় বুর্হান্‌-উলমুলক্ নামক জনৈক ব্যক্তি বিশ্বাসঘাতকতা করি এবং ঈর্ষাপরতন্ত্র হইয়া নাদিরের নিকট উপস্থিত হইয়া বলিলেন যে, খা-দৌরানের দ্যায় উপযুক্ত ব্যক্তি আর নাই, সুতরাং নিজামের মত ব্যক্তিয়, তাহার পদ আকাঙ্ক্ষা করা অন্যায় এবং আরও পরামর্শ দেন যে, ছলে ভুলাইয়া নিজাম ও মহম্মদ-শাহকে বন্দী করিলে নিজে রাজ্যেশ্বর হইতে পারেন। নাদিরশাহ তাছার মন্ত্রণায় মুগ্ধ হইয়া মহম্মদ-শাহকে তাহার তাবুতে আসিবার জন্ত নিমন্ত্রণ করিলে, সম্রাট সদলে উপস্থিত হইলেন । নাদির সম্রাটুকে বিনয় করিয়া বলিলেন যে, “আপনার অনুচরগণকে ফিরিয়া যাইতে আজ্ঞা করুন এবং মান্ত গণ্য জন কএক আপনার সহিত আমার আতিথ্য গ্রহণ করুন । অপরাপর সকলে চলিয়া গেলে নাদির পরামর্শমত সম্রাটু, নিজাম, আর্মীর খা, ইসহাক খা, জীবেদ খাঁ, বিহরোজ খ ও জবাহির থাকে বন্দী করিলেন । ইহার পর নাদিরশাহ একদিন বিশ্বাসঘাতক বুষ্ঠানকে ডাকাইয়া বলিলেন, তুমি যে আমার কান্দাহারে অবস্থিতিকালে, আমি ভারতে আসিলেই পঞ্চাশ ক্রোর মুদ্র দিতে প্রতিশ্রুত ছিলে সে টাকা কোথায় ? যদি দিবসত্রয় মধ্যে উক্ত টাকা না হাজির কর, তাহ হইলে তোমার প্রাণ যাইবে । নিজামউলমুলক্ ও তথায় উপস্থিত ছিলেন। নাদির শাহ অত্যন্ত কোপাবিষ্ট হইয় তাহাদের উভয়কেই তিরস্কার করেন। চতুরচূড়ামণি নিজাম এই উপযুক্ত সময় ভাবিয়া বুছানের বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিশোধ লইবার জন্ত আন্তরিক ভাব গোপন করিয়া, মৰ্ম্মভেদী কথায় আপনাদের অপমানের বিষয় উল্লেখে বুছানকে মাতাইয়া তুলিলেন এবং নাদিরের হস্তে মরিবার অপেক্ষ আত্মহত্যা করিয়া মরা শ্রেয়ঃ ; এইরূপ বুঝাইয়া, উভয়েই প্রাণপরিত্যাগ করিতে কৃতসংকল্প হইলেন । যাইতে যাইতে পরম্পরে প্রতিজ্ঞা করিলেন, বাটতে যাইয়াই বিষ ভক্ষণে দেহ ত্যাগ করিবেন। নিজাম বাটর সকলকেই আপনার অভিপ্রায় জ্ঞাপন করিয়া একটী পাত্রে সরবৎ ঢালিয়া পান করেন এবং আপনাকে বস্ত্রাবৃত করিয়া শয়ন করিলেন ।