পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰহাসিনী জান তুমি, ঐ যে কালো মোঘ আমার হাতে রুটি খেয়ে মেনেছে মোর পোষ, মিনি-বেড়াল নয় বলে সে অাছে কি তার দোষ । জগামালীর প্রাণে ষে জিনিসট। অবুঝভাবে আমার দিকে টানে কী নাম দেব তার, একরকমের সেও অভিসার । কিন্তু সেট কাব্যকলায় হয় নি বরণীয়, সেই কারণেই কণ্ঠে আমার সমাদরণীয় ।” নাতনি হেসে বলে, “কাব্যকথার ছলে পকেট থেকে বেরোয় তোমার ভালে কথার থলি, ওটাই অামি আভ্যাসদোষ বলি ।” আমি বললেম, *যদি কোনোক্রমে স্বজন্মগ্রহের ভ্ৰমে ভালো যেটা সেটাই আমার ভালো লাগে দৈবে, হয়তো সেটা একালের ও সরস্বতীয় সইবে । - নাতনি বলে, ”সত্যি বলে দেখি, আজকে-দিনের এই ব্যাপারট। কবিতায় লিখবে কি ৷” আমি বললেম, “নিশ্চয় লিখবই, আরম্ভ তার হয়েই গেছে সত্য করেই কই । বাকিয়ো না গো পুষ্পধন্থক-ভুরু, শোনো তবে, এইমতো তার শুরু । — ‘শুক্ল একাদশীর রাতে কলিকাতার ছাতে জ্যোৎস্না ষেন পাব্লিজাতের পাপড়ি দিয়ে ছোওয়1, গলায় আমার কুন্দমালা গোলাপজলে ধোওয়৷”— এইটুকু যেই লিখেছি সেই হঠাৎ মনে প’ল, এট1 নেহাত অসাময়িক হল । হাল ফ্যাশানের বাণীর সঙ্গে নতুন হল রফা, একাদশীয় চজ দেবেন কর্মেতে ইস্তফা । €ግ