পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্তকরবা NS)(이 পাগল পরান চলে গেয়ে । আমায়ু তুলিয়ে দিয়ে য। তোর দুলিয়ে দিয়ে না, তোর সুদুর ঘাটে চল রে বেয়ে। চন্দ্রা। তবে তো আশা নেই, আমরা-যে বড়ো কাছে । বিশু । অামার ভাবনা তো সব মিছে, আমার সব পড়ে থাক পিছে। তোমার ঘোমটা খুলে দাও, তোমার নয়ন তুলে চাও, দাও হাসিতে মোর পরান ছেয়ে চন্দ্রা । তোমার স্বপনতরীর নেয়েটি কে সে আমি জানি । বিশু। বাইরে থেকে কেমন করে জানবে। আমার তরীর মাঝখান থেকে । তাকে তো দেখ নি। চন্দ্র। তরী ডোবাবে একদিন বলে দিলুম, তোমার সেই সাধের নন্দিনী । গোকুল খোদাইকরের প্রবেশ গোকুল। দেখো বিশু, তোমার ওই নন্দিনীকে ভালো ঠেকছে না। বিশু । কেন, কী করেছে। so গোকুল। কিছুই করে না, তাই তো খটকা লাগে । এখানকার রাজা খামক ওকে আনালে কেন । ওর রকমসকম কিছুই ৰুঝি নে । চন্দ্রা। বেয়াই, এ আমাদের দুঃখের জায়গা, ও-যে এখানে অষ্টপ্রহর কেবল সুন্দরিপনা করে বেড়ায়, এ আমরা দেখতে পারি নে। গোকুল। আমরা বিশ্বাস করি সাদা মোটাগোছের চেহারা, বেশ ওজনে ভারী । f § বিশু। যক্ষপুরীর হাওয়ায় সুন্দরের পরে অবজ্ঞা ঘটিয়ে দেয়, এইটেই সর্বনেশে। নরকেও স্বন্দর আছে, কিন্তু সুন্দরকে কেউ সেখানে বুঝতেই পারে না, নরকবাসীর সব চেয়ে বড়ো সাজা তাই । চন্দ্রা । আচ্ছ বেশ, আমরাই যেন মুখু, কিন্তু এখানকার সর্দার পর্যন্ত ওকে দুচক্ষে দেখতে পারে না, তা জান ?