পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

鸟88 ভাবধারায় ভাসিয়া চলে জগতের ইতিহাস হইতে সে জাতি শীঘ্রই নিশ্চিহ্ন হইয়া যায়। হিন্দুর ভাবধার অক্ষুণ্ণ রাখিতে হইলে সংস্কৃত ভাষার সহিত পরিচয় রাখা একান্ত প্রয়োজন । তথাপি একটি কথা ভয়ে ভয়েই বলিতে হয়—সংস্কৃত ভাষার সহিত আমরা আর ওতপ্রেতি ভাবে মিলিতে পারিতেছি না। যদিও ক্রিয়াকলাপে আজও সংস্কৃত মন্ত্রই চলিতেছে, তথাপি আমাদের অজ্ঞতায় তাহ দিন দিন অসংস্কৃতই হইয়া উঠিতেছে। অনেক স্থানেই দেখা যায় পুরোহিত না-বুধিয়া মন্ত্র পড়ান—ষজমান তোতাপার্থীর মত সেই বুলিই কপচাইয়া চলেন। কেহই অর্থ বোঝেন না ; ইহারই জন্ত ইন্দ্রশক্র্যাগের মত বিপরীত ফল প্রসব হয় কি না তা কে বলিবে ? অবশ্য ইহার জন্ত দায়ী আমাদের পারিপার্থিক অবস্থা । সংস্কৃত শিক্ষার্থীদিগের সম্মুথে একমাত্র যাজনক্রিয়া ভিন্ন অন্য কোনও পথ খোলা নাই । তাহা ভিক্ষারই নামান্তর । যতই তাহার অঙ্গে নৈতিক পোষাক পরান হউক না কেন, তবু তাহাকে আজ আর কেহ শ্রদ্ধার চোখে দেখে না। একদিন শাস্ত্রকারগণ উদাত্ত সুরে ঘোযণা করিয়াছিলেন "সেবা শ্ববৃত্তিৰ্মতা—কাহারও সেবা করিয়া জীবিকানিৰ্ব্বাহকে কুকুরের বৃত্তির সহিত তুলনা করিয়াছেন। সেই সেবাই আজ অবত ব্রাহ্মণ কায়স্থ প্রভৃতি উচ্চ বর্ণের বরণীয় পেশা হইয়া ীিড়াইয়াছে। সেবা শ্ববৃত্তি—একথা র্যাহার বলিয়াছেন, তাহারাই বলিয়াছেন—‘ভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ’ । ভিক্ষণ অপেক্ষা চাকরি অর্থাৎ রাজসেবাও ভাল । সংস্কৃত শিক্ষার্থীদিগের প্রধান বৃত্তিই যাজনক্রিয়া । কিন্তু অীজ প্রতীচ্য শিক্ষিত সমাজে ঐ বৃত্তি ভিক্ষারই রূপান্তর। শ্রদ্ধাশীল যজমান নাই বলিলেও বেশী বলা হইবে না। শিক্ষিত মৰ্য্যাদাসম্পন্ন পুরোহিতের বুকেও অস্থিাহীন যজমানবাড়িতে কাজ করিতে আঘাত লাগে । ইহা ভিন্ন জীবিকার আর একটি উপায়—ম্বুলে পণ্ডিতী করা । কিন্তু তাহাও নির্দিষ্টসংখ্যক । সে কাজের জন্তও প্রত্যেক স্থূলই চাহিয়া থাকেন—ইংরেজী-জানা কাব্যতীর্থ’। অীৱ আজিকার দিনে গ্রাজুয়েট কাব্যতীর্থঙ বিরল ময় । প্ৰতিৰৎসর যে এতগুলি "তীর্থ”-উপাধিধারী পণ্ডিত প্রেবচন; ఏ98ు বাহির হইতেছেন তাহদের সন্মুখে খোলা আছে কোন পথ ? তাহারা নির্দোষ ভাবে জীবিকার্জনের জন্ত কোন উপায় অবলম্বন করিকেন ? এই সকল কারণে দিন দিন সংস্কৃত পরীক্ষায় ছাত্রসংখ্যা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইলেও কেবল সংস্কৃতাধ্যায়ী ছাত্রসংখ্যা দিন দিন হ্রাসপ্রাপ্ত হইতেছে, নিষ্ঠাবান পণ্ডিতের পুত্রও আজ শ্ববৃত্তির আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী অধ্যয়ন করিতেছেন। তাহার বা তাহার পিতার কাহারও আর সংস্কৃত-শিক্ষার প্রতি তেমন অস্থিা নাই। গুরু বা পুরোহিত বংশের বহু সস্তান শ্ববৃত্তির মোহে স্ববৃত্তি পরিত্যাগ করিতেছেন। সেই শ্ববৃত্তিও আজ উদ্ধৃবৃত্তিতে আসিয়া পর্যবসিত হইতেছে। ইহার ও প্রতিকার-চিন্তার সময়ও আসন্ন । আজকাল সংস্কৃত-শিক্ষায় আর অন্নসংস্থান হয় না । অধ্যাপক-বিদায় শহরে বা শহরের উপকণ্ঠে দুই একটি হইলেও পল্লীর অধ্যাপকদিগের অদৃষ্টে তাহা জোটে না । তেমন বড়লোক বিরল যিনি অধ্যাপকবৃন্দকে মাসে মাসে দূরে থাক, বৎসরেও একবার সাহায্য করিতে পারেন বা করিয়া থাকেন । অথচ শত শত অকার্য্য করিয়াও ( অপকাৰ্য্য শতং কৃত্বা ) যাহাঁদের ভরণপোষণ করিতে হইবে সেই পোষ্য পরিবারবৃন্দের ভরণপোষণ আর সংস্কৃত-শিক্ষার সাহায্যে চলে না। সংস্কৃত-শিক্ষার্থী যেন আজ সমাজের বুকে অভিশাপ-স্বরূপ। শত অকার্য্যের স্থানে সহস্ৰ অকাৰ্য্য করিয়াও র্তাহাদের গ্রাসাচ্ছাদনের কোনও উপায় করিতে পারিতেছেন না । সমাজ আজি শত ঝঞ্চাৰাতে বিপৰ্য্যস্ত। অভাব-উৎপীড়ন আজ সাৰ্ব্বজনীন হইতে বসিয়াছে। দীনতা"ীনতা-সঙ্কীর্ণতা ইহাকে চারিদিক হইতে আক্রমণ করিয়াছে। সম্মুখে পথ নাই—কোনও উপায় নাই। সত্য কথা—পরের প্রতি চাহিয়া থাকার দিন চলিয়া গিয়াছে, এ-কথা উজ্জ্বল সত্য যে— সৰ্ব্বং পরৰশং দুঃখং সৰ্ব্বমাত্মৰশংস্কুখং। আজিকার দিনে সংস্কৃত-শিক্ষার্থী ছাত্রদিগকে এমনভাবে শিক্ষা দিতে হইবে যেন তাহাদিগকে সমাজের গলগ্রহ হইয়া औदिकांद्र बछ भद्रब्र चांद्रर ना-श्रेrड रत्र।