পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরঙ্গ জীব ও তৎসাময়িক র স্তান্ত । Ե & কপট ধাৰ্ম্মিক সাজিয়া থাকিতেন । কিন্তু দারার প্রতি র্তাহাব বিদ্বেষ দিন দিন বাড়িতে লাগিল। নিকটে থাকিলে চক্ষুশূল হয়, এজন্য সামান্য একটা ছল পাইয়া পিতার অনুমতিক্রমে তিনি দাক্ষিণাত্য প্রদেশের শাসনকৰ্ত্ত হইয়া গেলেন। এই স্থানে গোলকুণ্ডার রাজার লেনামায়ক মিরজুমা আপনার প্রভুকে পরিত্যাগ করিয়া আরঙ্গজীবের সহিত মিলিত হন । তখন হাইকারাবাদ গোলকুণ্ড বাজের অধিকারে ছিল । আরঙ্গজীব মিরজুয়াকে সঙ্গে লইয়া হাইদারাবাদ লুঠ করিলেন । সম্বর গোলকুণ্ড অধিকার করিতেও ইচ্ছ। রহিল এবং এইবার তাহার চিরকালের তুরভিসন্ধি পূর্ণ হইবার প্রকৃত অবসর অসিল। সম্রাট শাজেহান পীড়িত ; তাহার জীবন সঙ্কটাপন্ন । পাছে রাজ্যে কোন অনিষ্ট ঘটে, এজন্য দার। সম্রাটের কার্য্য মির্বাহ করিতে লাগিলেন । সুজা বাঙ্গালার শাসনকর্তা ছিলেন । জ্যেষ্ঠভ্রাতা সম্রাট হইযাছেন শুনিয় তাহার সর্বাঙ্গ ক্রোধে জলিয়া উঠিল । তিনি তৎক্ষণাৎ সমর-সজ্জা করিয়া দিল্লীর অভিমুখে যাত্রা করিলেন । আরঙ্গজীব সাতিশয় ক্রর ; বাল্য কাল হইতেই বাহিরে কপট ধাৰ্ম্মিক সাজিয়া থাকিতেন । এই গোলযোগের সময় তিনি প্রশান্তভাবে স্বীয় দুরভিসন্ধি সিদ্ধ করিবার জন্ত বিবিধ উপায় দেখিতে লাগিলেন। কনিষ্ঠ ভ্রাতা মুরাদ তখন গুজরাটের শাসনকর্তা । অণরঙ্গজীব তাহাকে লিখিয়া পাঠাইলেন,--“ভাই । পিতার ত মৃত্যুকাল উপস্থিত । আমাদের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার সকলেই অলস, ইন্দ্রিয়-পরায়ণ ও বিলাসী । এই বিশাল সাম্রাজ্য শাসনে রাথিতে র্তাহারা অযোগ্য। আমার নিজের কথা b"