পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Фte * dौक WS श्रृिं ।।' করিয়া তুলিতে পারে, সেই স্ত্রীই এ জগতে সার্থকজন্ম, সেই কামিনীইএ জগতে যথার্থঙঃ কামিনীপদবাচ্য —“যা সৌন্দৰ্য্যগুণান্বিতা পতিরতী স কামিনী কামিনী।” এ জগতে প্রত্যেক কামিনীর পক্ষে ইহাই কৰ্ত্তব্য বলিঙ্গা জানিবে এবং এই পথই অক্ষুন্নভাবে অবলম্বন করা । উচিত ; না করিলে প্রত্যবtয় আছে। স্ত্রীলোকেতে যে কিছু মহত্ব, তাহা কেবল এই পথে রক্ষিত, ফটিত ও ফলশালী হইতে পারে। বৈধব্যহেতু যাহার সে পথ রুদ্ধ হইয়াছে, বা যাহার যত্ন সত্বেও স্বামীপুত্রসংশ্ৰব অপ্রাপ্য, তাহার জন্ত কেবল অন্ত ব্যবস্থা বা অন্ত পথ। যাহা হউক অতঃপর, স্ত্রীলোকের সৰ্ব্বতোভাবে সৰ্ব্বপ্রধান কৰ্ত্তব্য বলিয়া যাহা কথিত হইল, দেখা যাউক তাহা কিরূপ প্রকরণ ও আচরণযোগে স্বভাবে ও সর্বাবয়বসম্পন্নরূপে সুসাধিত হইতে পারে। প্রকরণ ও আচরণের মধ্যে মূল স্বত্র যাহা, তাহা স্বামীর প্রতি অকপট প্রণয় ও পূর্ণ আসক্তি। স্ত্রী প্রণয় ও আসক্তির দ্বারা স্বামীকে আকর্ষণ করিবে ; স্বামীও তাঁহাকে যথোপযুক্তরূপে পরিচালন দ্বার সেই প্রণয় পরিপোষণ করিবে এবং তাঁহার গৃহ কাৰ্য্যাদি সংসাধন ও সে সকলে সুমতি সংস্থাপন পক্ষে প্রতিকুল কারণ যে কিছু, তাহার নিরসন করিয়া নিবে। ইহার দ্বারা উভয় শক্তির সমতা সম্পাদিত হওয়াতে, স্বসম্মিলনহেতু ফলের উৎপত্তি হইয় থাকে। সংক্ষেপতঃ, স্বামীকে স্ববশে অনিয়া তাহার উপর প্রভূত্ব করিতে, স্ত্রীলোকের একমাত্র মহান অস্ত্র,— সৰ্ব্বদা স্বমুখে ফুৰ্ত্তিযুক্ত প্রণয় প্রক্ষেপণ ; নতুবা তাহ রাগ ঝাল বা স্বাধিকারঘোষণা দ্বারা সুসিদ্ধ হয় না। স্বামী স্ববশে আসিলে, তখনই স্ত্রীলোকের প্রকৃতপক্ষে সৰ্ব্বতোমুখী কাৰ্য্যক্ষমতা জন্মে এবং তখনই স্ত্রীলোক, স্বামীর হাত দিয়া, সংসারস্থলীর অতীত সামাজিক