পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

는 88 বাংলায় ভ্ৰমণ তাহার প্রতিষ্ঠিত মনসা দেবীর বিগ্ৰহ আজও এখানে নিত্য পূজা পাইতেছেন। বিক্ত গুপ্তের মনসা খুব জাগ্রত বলিয়া লোকের বিশ্বাস, এজন্য নানাস্থান হইতে এখানে যাত্রীর সমাগম হয়। গৌরনদী হইতে ২ মাইল পশ্চিমে চাদসী অবস্থিত চাদসীর দেশীয় চিকিৎসকগণ বাংলায় প্রসিদ্ধ । ইদিলপুর—বরিশাল-চাদপুর-ঢাকা স্টীমার পথে বদরটুনি স্টেশন বাখরগঞ্জ জেলার উত্তর সীমান্তে নয়াভাঙ্গানী ও মেঘনা নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। নয়াভাঙ্গানীর অপর পারেই ফরিদপুর জেলা। নয়াভাঙ্গানীর নাম হইতে প্রতীয়মান হয় ইহা পদ্মার নূতন খাত। বদরটুনি থানার ২৩ মাইল পশ্চিমে নয়াভাঙ্গনী নদীর উপর আবুপুর বা ইদিলপুর গ্রাম। ইদিলপুর পরগণ পুরাতন সরকার বাকুলার চারিটি পরগণার অন্যতম। চাদ রায় কেদার রায়ের সময় ইহা বিক্রমপুরের অন্তর্গত ছিল ; পরে কেদার রায়ের সেনাপতি রঘুনন্দন চৌধুরী ইহা প্রাপ্ত হন। চৌধুরীরা দোর্দণ্ড প্রতাপ জমিদার ছিলেন। ভাটগানে শুনা যায় “ইদিলপুরের জমিদার দোহাই মানে বাঘে যার ।" এই পরগণায় প্রচুর সুপারি এবং কিছু কিছু কমলা লেবু জন্মিয় থাকে। ইদিলপুর পরগণার কোনও গ্রামে সেন বংশীয় রাজা কেশব সেনের একটি তাম্রশাসন পাওয়া গিয়াছে। ইহার তারিখ ১১৪৬ খৃষ্টাব্দ। ইহাতে রাজ কেশব সেন তাহার রাজত্বের তৃতীয় বৎসরে ঈশ্বর দেবশৰ্ম্ম নামক এক ব্রাহ্মণকে জেলার দক্ষিণাংশে চণ্ডভণ্ড নামক একটি আদিম ও অৰ্দ্ধসভ্য জাতির অত্যাচার দমন করিবার জন্য তিন খানি গ্রাম দান করেন । কেশব সেন মহারাজ লক্ষ্মণ সেনের পুত্র। এই তাম্রশাসন হইতে জানা যায় যে র্তাহার পিতা মহারাজ লক্ষ্মণ সেন দক্ষিণ সমুদ্রের কুলে শ্ৰীক্ষেত্রে, বারাণসীতে, বিশ্বেশ্বর ক্ষেত্রে এবং গঙ্গা-যমুনার সঙ্গম ত্রিবেণীতে “সমর জয় স্তম্ভ মালা” স্থাপন করিয়াছিলেন । ইদিলপুর পরগণার অপর একটি গ্রামে বৌদ্ধ ধৰ্ম্মাবলম্বী চন্দ্রবংশীয় রাজা শ্ৰীচন্দ্রদেবের (মাদারীপুর দ্রষ্টব্য) একখানি তাম্রশাসন পাওয়া গিয়াছে । পটুয়াখালি । বরিশাল শহর হইতে স্টীমার পথে দক্ষিণে প্রায় ৭ ঘণ্টার পথ। ইহা একটি মহকুমা সদর । ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দে এখানে যখন প্রথম দেওয়ানী আদালত স্থাপিত হয় তখন ইহা জঙ্গলাকীর্ণ ছিল । ক্রমে ইহা শহরে পরিণত হইয়াছে । পটুয়াখালি হইতে দক্ষিণে এক দিকে আমতলি ও অপর দিকে খেপুপাড়া পৰ্য্যন্ত প্রত্যহ স্টীমার যাতায়াত করে। - পটুয়াখালি-আমতলি স্টীমার পথে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে বিঘাই ও আয়ল নদীর সঙ্গমস্থলে আয়ল স্টেশনে পৌছান যায়। আয়লা নদীর অপর বা উত্তর পার মসজিদবাড়ী গ্রাম। এখানে ১৪৬৫ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত একটি পুরাতন মসজিদ আছে; ইহ সরকারী রক্ষিত কীৰ্ত্তি বিভাগের অধীন। কলিকাতার যাদুঘরে রক্ষিত এই মসজিদের প্রস্তর ফলক হইতে জানা যায় যে ইহা সুলতান মহম্মদ শাহের পুত্র সুলতান বারবক্‌ শাহের রাজ্যকালে খান মোয়জ্জম আজিয়াল খান কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। দক্ষিণ