পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। ( বিশ্বাসঘাতকতাপূর্বক মালব-রাজ দেবগুপ্তের দ্বার নিহত করান (৬০৬ খৃঃ), এবং কান্তকুঞ্জ অধিকার করিয়া রাজ্যশ্রীকে গৌড়ে অনিয়া কারারুদ্ধ করিয়া রাখেন। গুপ্তনামক কোন ব্যক্তির সাহায্যে রাজ্যশ্রী কারামুক্ত হইয়া বিন্ধারণ্যে পলায়ন করেন। রাজ্যবৰ্দ্ধনের ভ্রাতা হর্ষবৰ্দ্ধন, কনোজ অধিকার করিয়া ভ্রাতৃহত্যার প্রতিশোধের জষ্ঠ কর্ণসুবর্ণ আক্রমণ ও অধিকার করেন। হর্ষবৰ্দ্ধন গৌড়ে কিয়ংকাল বাস করিয় ভারতবর্ণের বিভিন্ন প্রদেশ জয়ার্থ সৈন্ত প্রেরণ করেন। তিনি মহারাষ্ট্রদেশ অধিকার করিতে পারেন নাই ; কিন্তু উত্তর-ভারতের সমুদায় স্থান ঠাহীর অধিকৃত হইয়াছিল । মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙ্গামাট নামক স্থানে কর্ণসুবর্ণের ধ্বংসাবশেষ দুষ্ট হয়। এখন রাঙ্গামাটর অধিকাংশ ভাগীরথী-গর্ভে নিমজ্জিত হইয়াছে। রাজবাড়ী-ডাঙ্গ রাক্ষসী-ডাঙ্গা, সন্ন্যাসী-ডাঙ্গা, ঠাকুরবাড়ী-ডাঙ্গ প্রভৃতি কর্ণসুবর্ণের অতীত সমুদ্ধির সাক্ষাদান করিতেছে । রক্ষসী-ডাঙ্গা, বোধ হয়, অশোকস্ত,পের ভগ্নাবশেষ। গুপ্ত-বংশীয় রাজগণ কতকাল কর্ণসুবর্ণে রাজত্ব করেন, তাহ বলা যায় না । কর্ণসুবর্ণের ইষ্টক স্তপের মধ্য হইতে রবিগুপ্ত, জয় মহারাজ, নরগুপ্ত, প্রকটাদিতা, ক্রমাদিত্য, বিষ্ণুগুপ্ত, চন্দ্রাদিত্য, প্রভৃতি রাজগণের নামাঙ্কিত স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া গিয়াছে ! হর্ষবদ্ধনের পর, অঙ্গ-বঙ্গ-গোঁড়াদি মগধরাজ আদিত্যসেনের অধীন হইয়াছিল। হৰ্ষবৰ্দ্ধনের মৃত্যুর অব্যবহিত পরে তিব্বতীয়গণ বঙ্গ ও মগধ আক্রমণ করিয়াছিল । - কোন সময় পেীগু রাজ্যে বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিশেষ প্রচার হইয়াছিল। এখনও অনেক স্থলে ভগ্ন বৌদ্ধ-মূৰ্ত্তি পতিত রহিয়াছে।. মালদহ জেলার সদরষ্টেসনের অনতিদূরে মহানন্দার অপর পারে মাধাইপুরের কালী