সুখ লইয়া বড়াই করে লোকে দুখর পাছে আয়[১]।
জোয়ার ভাটায় জল যেমন আসে আর যায়॥১৬
কোন পথে যাইবাম আমি গো বইলা দেওরে পথ।
দুষ্কের কপাল মোর দুষ্ক হইল যত॥১৮
বাপে খেদাড়িল মোরে আপনা ভাবিয়া[২]।
অন্ধ ছাওয়াল স্বামীর সঙ্গে বিধি দিল বিয়া॥২০
আকালেতে মাও মইল নাইরে সোদর ভাই।
বনে বনে গেল দিন কান্দিয়া বেড়াই॥২২
রে আমার দুঃখের দিন॥
কপালে থাকিলে দুঃখ খণ্ডন না যায়।
পঞ্চমাসের গর্ভ সীতা বনবাসে যায়॥২৪
আমারে খাইয়া বনের বাঘ গায় কররে বল।
আমারে খাইয়া ভাল্লুক গায় কররে বল॥২৬
বনে থাক বনের সাপ কহিরে তোমারে।
দারুণ দংশন কইরা বাঁচাও[৩] আমারে॥২৮
মরিলেও বাঁচি আমি বাঁচিলে যে মরি।
জন্মভরা দুষ্ক কত সইতে না পারি॥৩০
রে আমার দুঃখের কাহিনী॥
এইরূপে কান্দিয়া কন্যা বেড়ায় বনে বনে।
আর নাহি গেল কন্যা কাঠুরি ভবনে॥৩২
রাত্র যায় দিনরে আসে বাম হইয়াছে বিধি।
পাগল হইয়া ছুটে কন্যা যেমন শাঙন মাইসা নদী[৪]॥৩৪