পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দমোহন বসু আনন্দবাবু যদি ব্যবসায়ে একটু মন দিতেন তাহলে তিনি বার-এ অদ্বিতীয় হতেন, সন্দেহ নেই। কিন্তু ভগবান আনন্দমোহনকে হিসাবী জীবনযাপনের জন্য পাঠান নাই । অফুরন্ত প্ৰাণ প্রাচুর্য্যে তিনি সব সময়ই গতানুগতিকতাকে অতিক্ৰম কবিয়া বিরাজ করিতেন । নিজের কাজ সম্পর্কে মনোযৈাগ দিবার কথা বলিলেই হাসিয়া বলিতেনবাবা । আইনের কাগজপত্রগুলোকে আমি যেন সাপের মত ভয় করি । ওগুলো দেখলেই অন্তরাত্মা শুকিয়ে যায় । কিন্তু অসামান্য প্রতিভার অধিকারী করিয়া ভগবান র্যাহাঁদের এ পৃথিবীতে পাঠান, জীবনের কোন ক্ষেত্রেই তঁাহারা ব্যৰ্থকাম হন না। আনন্দমোহনের বেলায় ও ইহার ব্যতিক্রম ঘটে নাই। আইনব্যবসায় ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হইবার কোন চেষ্টা না করিয়াও তিনি আইনজ্ঞ হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। উচ্চশিক্ষার্থে আনন্দমোহন যখন ইংল্যাণ্ডে গমন করেন। সে সময় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা বিলাতের পালামেণ্টে ভারতীয়দের ন্যায্য দাবীর অধিকার জানাইয়া আন্দোলন করিতেছেন। রাজনীতিবিদ হিসাবে আনন্দমোহনের সে সময়ে যথেষ্ট সুনাম ছিল এবং তৎকালীন নেতারা তাহার প্ৰস্তাব ও উপদেশ শ্ৰদ্ধার সহিত গ্ৰহণ করিতেন। জাতীয় আন্দোলনকে সার্থক করিয়া তুলিতে হইলে বিদেশী রাজনীতির ধারাটি সম্যকভাবে বুঝা প্রয়োজন। তাই আনন্দমোহন কিছু δ\OO