[এদিকে দেশ জুড়িয়া রতন ঠাকুরের খোঁজ পড়িল। খুঁজিতে খুঁজিতে লোকজন জানিয়া গেল যে এই সজিন্তার দেশের মালী-মালিনীই রতন ঠাকুর ও তা’র প্রণয়িণী—সেই বৃদ্ধ মালীর কন্যা।]
(৯)
গাও না গেরাম লৈয়া ভালা যুক্তি যে করিল।
রঙ্গিলা বেশ্যারে কৈয়া সজিন্তা পাঠাইল॥২
“শুন শুন রঙ্গিলা বেশ্যা বলি যে তোমারে।
আমার পুত্র পাগল হইয়া গিয়াছে বৈদেশে॥৪
অৰ্দ্ধেক রাজত্বি দিবাম আর সে দিবাম তার।
সোণাতে বান্ধিয়া দিবাম তোমার গলার হার॥”৬
পান খাইয়া রঙ্গিলা বেশ্যা আরে ঠোঁট কইরাছে লাল।
হাল আবেস্থা[৩] তার শুন দিয়া মন।
যাদুমন্ত্র জানে কন্যা পরথম যৌবন॥৯
দুষ্মনে সুহৃদ্ করে পান পড়া দিয়া।
সতী নারীর পতি সে যে নেয় ত ভুলাইয়া॥১১
এক ফোটা জল পইরা[৪] গায়ে ছিটা দিলে।
পাগলিনী হইয়া সতী আপন পতি ভুলে॥”১৩
(হায় ভালা) তবে ত রঙ্গিলা বেশ্যা আরে গমন না করিল।
সজিন্তার দেশে গিয়া দাখিল হইল॥১৫