ܓ আর নেই-সংসার-খরচের কিছু টাকা দিতে হবে যে । স্ত্রীর প্রার্থনায় নরেন্দ্ৰ আশ্চৰ্য হইল । কহিল, এর মধ্যেই দুশো টাকা ফুরিয়ে গেল ? না গেলে কি মিথ্যে বলচি, না, লুকিয়ে রেখে চাইচি ? নরেন্দ্রের চোখে একটা ভয়ের ছায়া পড়িল । কোথায় টাকা ? কি করিয়া সংগ্ৰহ করিবে ? * সেই মুখের ভাব ইন্দু দেখিল, কিন্তু ভুল করিয়া দেখিল। কহিল, বিশ্বাস না হয়, এখন থেকে একটা খাতা দিয়ে, হিসেব লিখে রাখব । কিংবা এক কাজ কর না - খরচের টাকাকড়ি নিজের হাতেই রেখো। -- তাতে তোমারও ভয় থাকবে না, আমি ও সংশয়ের লজ থেকে রেহাই পাব । বলিয়া তীব্ৰ-দৃষ্টিতে চাহিয়া দেখিল তঁহার মুখের গাঢ় ছায়া বেদনায় গাঢ়তার হইয়াছে { নরেন্দ্ৰ ধীরে ধীরে বলিল, অবিশ্বাস করিনে, কিন্তুকিন্তু কি ? বিশ্বাস হয় না - এই তা ? আচ্ছা যাচ্ছি, যতটা পারি হিসেব লিখে আনি । উঃ-কি সুখের ঘর-কচুয়াই হয়েছে আমার ! বলিয়া সক্রোধে ঘর ছাড়িয়া চলিয়া গেল । কিন্তু তৎক্ষণাৎ ফিরিয়া আসিয়া কহিল, কিন্তু কেন ? কিসের জন্য হিসেব লিখতে যাব--আমি কি মিথ্যে বলি ? আমার মামতি ধোনের বিয়েতে কাপড়-জামা লাগল। -পঞ্চাশ টাকার উপর । কমলার জামা দুটোর দাম বার টাকা-সেদিন বায়স্কোপ খরচ হ’লো। দশ-বাব টাকা - খতিয়ে দেখ দেখি, বাকি থাকে কত ! তাতে এই দশ-পনার দিন সংসার-খরচটা কি এমন বেশি যে, তোমার দু’চোখ কপালে উঠেচে ! আমার দাদার সংসারে মাসে সাত-আটশ' টাকাতে যে হয় না । সত্যি বলচি, এমন করলে କାଁ
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯
অবয়ব