পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কখনো একেবারেই খিদের অভাব। হজম হয় না । গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে, বারবার জল খেলেও ভেজেনা । ঢোক গিলতে कछे श् । ঘুম আসে না। আর ওই অজানা আতঙ্কের মত কি যেন চেপে ধরে রাখে প্রাণটাকে । জীবনটা মনে হয় যন্ত্র। মায়ার ভালবাসাকে মনে হয় যান্ত্রিক । কিছুই নেই তার এই প্রেমে । দরদ করা তার স্বভাব, পাচজনকে যেমন আপনা থেকে স্নেহ করে, তাকেও তেমনি আপন থেকে ভালবাসে । ডাক্তার তন্ন তন্ন করে পরীক্ষা করছে দেহের যন্ত্র এবং উপাদান সবকিছু। কোন খুত মেলেনি। কেন তবে এমন হয় ? যখন ভাল থাকে নতুন কিছুই তো ঘটে না যে, বলা যাবে যে সেজন্য সব উল্টাপাল্টা হয়ে গেল । দিন রাত্রি ক’টা ভাল কাটছে। অন্ধকার থাকতে উঠে দেহমানে সুখ আর স্বস্তি নিয়ে কাজে যাচ্ছে। ঠিক তেমনি আরও একটা দিন কাটল । তারপর ভোরে ঘুম ভেঙ্গেই মনে হল দেহ মনে স্বস্তি নেই। সুরু হল দুঃখের দিন । মায়া বলে, তার এই অসুখের জন্যই গোড়ায় নাকি তার খুব মমতা হত, প্রাণ কঁাদিত । ইচ্ছা হত, আদর যত্ন দিয়ে সেবা করে তার অসুখ সারিয়ে দেয়, রাতে ঘুম না এলে শিশুর মত তাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। সেই ভাবটাই তারপর অন্য রকম হয়ে গেছে । 8 O