তৃণান্ধুর صوOb\ মাঠের চারিধারে সবুজ গাছপালা, আউশ ধানের সবুজ ক্ষেত, সুনীল আকাশ, এখনও বৌ-কথা-ক ডাকচে-খুব ডাকচে। সোদালী ফুল এখনও কিছু কিছু আছে। কাল বৈকালে প্ৰথম গেলাম সুবল বাবুদের বাড়ী বাগবাজারে, সেখানে খানিকক্ষণ গল্পগুজবের পরে বিভূতিদের ওখানে গেলাম। বাগবাজার ট্রামে আসবার সময়ে মনে ভাবছিলাম সাতাশ বছর আগে এই বর্ষাকালে, তবে বোধহয় এর আরও কিছু পরে-এই জায়গাটী দিয়ে ট্রামে করে যৌতুম বাবার সঙ্গে । তখন আমি নিতান্ত বালক, আর আজ কেবলই মনে হচ্চে এই সময়ের পরে কলকাতা ছেড়ে দেশে গিয়ে সে কি অপূর্ব জীবন-যাত্ৰা । কি বৈচিত্ৰ্য ! সে শুধু অনুভূতিতে ভরা-নানা ধরণের বিচিত্র বাল্য অনুভূতি । - আসল জীবনটাই তো হোল এই অনুভূতি নিয়ে, পুলক নিয়ে, উচ্ছাস নিয়ে। আজও সেই গ্রাম আছে, নদী আছে, কিন্তু সে অপূৰ্ব্ব অনুভূতি আর নেই। বিভূতিদের বাড়ী থেকে যখন আসি তখনও কেমন একটা শূন্যতার ভাব, যেন এদের বাড়ীর সকলেই আছে- অথচ কি যেন নেই। সবাই কাছে এল, বসলে, গল্পগুজব কল্লে-কিন্তু কোথায় সেই ভাদ্রমাসের বৈঠকখানা ঘরের দিনগুলা, সেই মক্কা-মদিন যাত্রী তাকিয়া-বালিশ, সে আনন্দের ঢেউ ? Where is that child ?...figgfs GaằF-CENT AIG FfF FizT পথে একটা মারামারি হচ্ছিল, পিকেটিং-কারী এক বালককে নাকি পুলিশে খুব মেরেচে, তাই নিয়ে। বাসে করে বায়োস্কোপ দেখতে গেলাম ও সেখান থেকে অনেক রাত্রে এলাম ফিরে । আজ রবিবাসরের অধিবেশনে নিমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলাম, সেখানে রাজশেখর বাবুর সঙ্গে আলাপ হোল, ‘অপরাজিত’ তার খুব ভাল লেগেচে৷ বলছিলেন। আজি ক’দিন থেকে মনে কেমন একটা অপূর্ব ধরণের আনন্দ পাচ্ছি তা বলবার নয়, লিখে প্ৰকাশ করবার নয়-সে। শুধু বুঝতে পারি—বোঝাতে *ांत्रि cन । এইমাত্র জ্যোৎস্নাপ্রাবিত বারান্দাটাতে একা বসে মেঘের ফাকে ফাকে আকাশের দু-একটা নক্ষত্রদের দিকে চেয়ে এই অপূৰ্ব ভাবটাই মনে আসছিল, •
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪
অবয়ব