পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্যজীবনের শেষ কথা। নরেন্দ্র যখন এণ্টান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তখন বয়সের অনুপাতে তুর্তাহার বিদ্যাসঞ্চয় নিতান্ত সামান্য হয় নাই। সমগ্ৰ পাটীগণিত ও ‘ উচ্চতর গণিতের কিয়দংশ, সংস্কৃত ব্যাকরণ ও সাহিত্যের অনেক গুলি পুস্তক এবং ভারতবর্ষের ইতিহাস—এইগুলি তিনি বিশেষ যত্ন সহকারে অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। কিন্তু তিনি পুস্তকের কীট ছিলেন না । রঙ্গ তামাসা, আমোদ প্ৰমোদ, পড়াশুনা অপেক্ষাও ভালবাসিতেন। এবং অভিনব ক্রীড়াকৌতুক উদ্ভাবনের জন্য মনপ্রাণ সমৰ্পণ, ঠুকরিতেন।

  • তিনি রায়পুরে পিতাঁর নিকট রন্ধনবিদ্যা শিখিয়াছিলেন। ‘সকলের চেয়ে ভােল রাধিব এইরূপ একটা জেদ তাহার বরাবর ছিল। খেলার সাখীদিগের নিকট অবস্থানুসারে একআনা দুইআনা খুচুদা লইয়া মাঝে মাঝে ‘চড়ুইভাত্নি” করা তাহার একটা প্রধান সখছিল?

খরচার বেশীর ভাগ অবশ্য তিনিই দিতেন এবং পাকের কার্য্যণ্ড’স্ফক্তি গ্ৰহণ করিতেন, তবে অন্যান্য বালকেরাও তঁহাকে সাহায্য করিত। পোলাও, মাংস, নানাপ্রকার খিচুড়ী ও অন্যান্য বহুবিধ রসনাতৃপ্তিকর উপাদেয় খাদ্য রন্ধন করা হইত। রন্ধন অবশ্য খুব ভালই হইত। কিন্তু তিনি খুব ঝাল ভালবাসিতেন বলিয়া মাংস, প্রভৃতিতে অতিরিক্ত লঙ্কা এই সময়ে বালক নরেন্দ্রের নবেদ্ভিন্ন জ্ঞানচক্ষুঞ্জ সদাজ ; চতুর্দিক হইতে মনের আহার অন্বেষণ করিতেছিল। রায়পুরে তিনি