পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । \O6: মণি ছিলেন, এজগতে তার “শিব” বই আর কিছু ছিল না। যে শিব তার ইষ্ট দেবতা, সে শিব তীর একমাত্র পুত্র। পিতৃদেব ধৰ্ম্মান্তর গ্ৰহণ করিলে তঁর যে অবস্থা হইয়াছিল, তাহা অবর্ণনীয়। নিজের মনের যন্ত্রণা—তাহার উপর ঠাকুরদাদা সৰ্ব দাই “তোমার পুত্ৰ” বলিয়া গালাগালি ও অজস্র অভিসম্পাৎ দিতেন। তাহাতে ঠাকুরমার “মড়ার উপর খাড়ার ঘর” মত বোধ হইত। একে শিবনাথ আজন্ম মাতৃভক্ত তাহাতে জননীর MDB BDD DDD S DD BBB DBBBD DB BB DDBD BDB DBDD আর বলিবার নয়। জননীকে সুখী করিবার জন্য তিনি প্ৰাণপণে চেষ্টা করিতেন । “আমার মা” বলিতে আনন্দে আত্মহারা হহঁতেন, মায়ের চরণ দুইটীর উপর মস্তক রাখিয়া পরম তৃপ্তি হৃদয়ে অনুভব করিতেন। ঠাকুরদাদা ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণের পর বিশ বৎসর পুত্রের মুখদর্শন করেন নাই-এজীবনে আর কখন “শিবনাথ” নাম মুখে উচ্চারণ করেন নাই। পিতৃদেবের বিষয় কিছু বলিতে হইলেই “পাজি”, “হতভাগা”, “লক্ষ্মীছাড়া” ইত্যাদি শব্দ প্ৰয়োগ করিতেন । শিবনাথ আজীবন জননীকে মাসে মাসে তাহার হাত খরচের জন্য কিছু কিছু টাকা দিতেন। কিন্তু ঠাকুরদাদা পুত্রের অর্থ স্পর্শ করিতেন না। একবার দেশের একজন জিজ্ঞাসা করেন-“পণ্ডিতমশাই! শিবনাথ আপনাদের কিছু মাত্র সাহায্য করে না।” ঠাকুরদাদা উত্তরে বলিলেন-“শুনতে পাই মাসে মাসে কিছু কিছু গুদাম ভাড়া তার গৰ্ত্তধারিনীকে দিয়া থাকে, আমি সে পাজির টাকা স্পর্শ করি না ।” শিবনাথ ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণের সময় আকুল প্ৰাণে যে সকল পত্র লিখিয়াছিলেন তাঁহাত্ত্বে অনেক বার লিখিয়াছেন- “একদিন আপনাদের প্রসন্নতা ফিরিয়া পাইব ।”