পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शांत्रिंक यंशांक्षत्रौ উঠতে হবে । উপন্যাসেও কাব্য সৃষ্টি করা যায়, কল্পনা পার হয়ে যেতে পারে বাস্তবতার সীমা, গড়ে উঠতে পারে এমন এক মানস জগৎ যার অস্তিত্ব লেখকের মন ছাড়া কোথাও নেই ; কিন্তু বাস্তব মানুষ বাস্তব জীবন বাস্তব পরিবেশ অবলম্বন করেই এসব ঘটাতে হবে । কবি-বন্ধুর মনে কথা জাগতো, কথায় তিনি তা প্ৰকাশ করে দেখন্ত্ৰেন ! কবিতা লিখতেন। কিম্বা লিখতেন ছোটগল্পরূপী গদ্য-কবিতা । অামার মনেও ਅ उi5igड কথা তুলে রাখতাম মনেরই তাকে । বাস্তবতার আশ্রয় ছাড়া আমার কথা দাঁড়াবে কিসে? আরও বয়স বাড়ক, অভিজ্ঞতা হোক, বাস্তবতাকে আরও ভালো করে জেনে চিনে আমার কথার ভিত গাঁথতে শিখি, তারপর মনের কথাকে বাইরে আনবো । একদিন উপন্যাস লিখবো ভাবতাম কি ? মোটেই না । সোজাসুজি ভাবতাম যে, লিখতে শুরু করার আগে আমাকে আরও পাকতে হবে ? উপন্যাস লিখতেই যে এই পাকামি দরকার হয় সেটা জেনেছি। অনেক পরে । প্রথম লিখলাম একটি গল্প-তাও লেখার খাতিরে নয়, কয়েকটি ছাত্ৰবন্ধুর সঙ্গে তর্কের ফলে সাধারণ একটা বাস্তব সত্যকে হাতে নাতে প্ৰমাণ করার জন্য । এ ঘটনার মধ্যেও প্ৰকাশ পেয়েছিল আমার ঔপন্যাসিকের ধাত-সাধারণ যুক্তিবোধ, বাস্তব-বোধ । তর্কটা ছিল মাসিকের সম্পাদকমশাইদের অবিবেচনা, উদাসীনতা, পক্ষপাতিত্ব ইত্যাদি দোষ নিয়ে । সম্পাদকের কিরকম জীব কিছুই জানতাম না, কিন্তু ভালো একটা লেখা হাতে পেলেও শুধু লেখকের নাম নেই বলেই লেখাটা তঁরা বাতিল করে দিয়ে থাকেন, এটা কোনমতেই মানতে পারিনি। কোন যুক্তিই খুঁজে পাইনি সম্পাদকদের এই অর্থহীন অদ্ভুত আচরণের। ভালো লেখার কদর নেই কদর আছে শুধু নাম-করা লেখকের এ তো স্রেফ পরস্পরবিরোধী কথা । যদি ধরা যায় যে, ভালো গল্প লেখা অতি সহজ, গাদাগাদ ভালো গল্প তৈরি হওয়ায় সম্পাদকের কাছে তার বিশেষ কোন চাহিদা নেই-তা হলে নাম-করা লেখকের নামেরও কোন মানেই থাকে না । এতে সোজা কাজ করার জন্য নাম হয় কিসে ? ভালো লেখা অন্যান্য কারণে সম্পাদকীয় অবজ্ঞা লাভ করতে পারে, লেখক নতুন বলে কখনোই নয়। এই সত্যটা প্ৰমাণ করার জন্য নিজে একটি গল্প লিখেছিলাম । (v99