ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।
লালবাজার পুলিসে বড় সাহেবের আফিসের সম্মুখে একটু দাঁড়াইয়া আছি, এমন সময়ে তাঁহার ‘টম্ টম্’ আসিয়া উপস্থিত হইল। আমি ও সাহেব উভয়েই সেই ‘টম্ টম্’ আরোহণ করিয়া প্রেসিডেন্সী জেলে গিয়া উপস্থিত হইলাম। সেইস্থানে গমন করিয়া যাহা দেখিলাম, ও যাহা শুনিলাম, তাহাতে অবগত হইলাম যে, ওয়ার্ণার ও হিলি দুইজনেই এক সময়ে জেল-হাসপাতালে ছিল; সেই সময় হইতেই উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপিত হয়। হাসপাতাল হইতে বাহির হইয়া উহারা যখন জেলের ভিতর থাকে, সেই সময়ে একজন কয়েদী সংবাদ দেয় যে, ওয়ার্ণার ও হিলি জেল হইতে পলাইবার চেষ্টা করিতেছে। সেই সংবাদ পাইয়া জেলের কর্ত্তৃপক্ষীয়গণকর্ত্তৃক উহাদিগের থাকিবার স্থান অনুসন্ধান করা। হয়। সেই সময় হিলি যে স্থানে থাকিত, সেইস্থানে একখানি লৌহ-নির্ম্মিত অস্ত্র পাওয়া যায়। সেই সময় হইতে উহাদিগের উপরে বিশেষ পীড়াপীড়ি আরম্ভ হয়, এবং বিশেষ সতর্কতার সহিত উহাদিগকে জেলের ভিতর কয়েদ করিয়া রাখা হয়; উভয়কেই বৃহৎ লৌহ-শৃঙ্খল বা বেড়ির দ্বারা আবদ্ধ করা হয়। ইহা ব্যতীত রাত্রিকালে উভয়কেই স্বতন্ত্র গৃহে বন্ধ করিয়া রাখা হয়, এবং গৃহের দ্বার: ‘চব্স্’ তালা দ্বারা আবদ্ধ থাকে। এই গৃহকে “শেল” কহে।