দেখ্বেন”―বলিয়া সে হাসিতে হাসিতে ঘরের বাহির হইয়া গেল।
সকালের দিক হইতে ঝুপ্ঝুপ্ করিয়া অবিশ্রান্ত একঘেয়ে বৃষ্টি পড়িতেছিল। ভোরের সময় বৃষ্টি শুরু হইয়াছিল, বেলা তিনটা বাজে, এখনও তাহার ভাবের কোন পরিবর্ত্তন দেখা গেল না। একঘেয়ে বৃষ্টির শব্দে মনও যেন ভারাক্রান্ত হইয়া উঠে। বাগানে যাইবার উপায় নাই। খোকা তাহার কাকার ঘরে। মেঘলা দিনের আকাশের ন্যায় অন্ধকার মন লইয়া অমিয়া তাহার নিজের ঘরে বসিয়া কতকগুলি প্রুফ দেখিতেছিল। অনেকদিন এগুলি আসিয়া পড়িয়া আছে, ভাল লাগে না, তাই খুলিয়া দেখা হয় নাই। আজ নিতান্তই দিন কাটিতেছিল না, তাই অত্যন্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও সেগুলি বাহির করিয়া কাট্কুট্ করিতে বসিয়াছিল। তবু কাজের মধ্যেই মন তাহার উধাও হইয়া ক্ষণে ক্ষণে দূরে কোথায় চলিয়া যাইতেছিল। মনের মধ্যে একটা অভাব―ঠিক্ বোঝা যায় না। তবু কি একটা অজানা ভাব আজকাল যেন সারা মনটাই জুড়িয়া রাখে। এই নূতন অজ্ঞাত ভাবটিকে সে যেন ধরিতেও পারে না―ছাড়িতেও চাহে না।
কিছুদিন পূর্ব্বে সে মনে মনে স্থির করিয়াছিল, মিস্ চৌধুরীর কথা রাখিবে―এখানকার এমন সব প্রাকৃতিক