মনে পড়ছে, “সকল গরব হায়, নিমেষে টুটে’ যায়, সলিল বয়ে যায় নয়নে!”
ওরে আকাশের মুক্ত পাথী, ওরে মুগ্ধ বিহগী! একি শিক্লি পর্তে চাচ্ছিস্ তা’ তুই এখন কিছুতেই বুঝতে পার্ছিসনে।—এড়িয়ে চল্—এড়িয়ে চল্ এই সোণার শিকল!······‘মানুষ মরে মিঠাতে, পাখী মরে আঠাতে!’
কুতল্-আমারা।—
(শেষ বসন্তের নিশীথ রাত্রি)—
আঃ, খোদা! কেমন করে’ তুমি এমন দু’ দু’টো আসন্ন বন্ধন হ’তে আমায় মুক্তি দিলে, তাই ভাবছি আর অবিশ্রান্ত অশ্রু এসে আমাকে বিচলিত করে’ তুল্ছে! এ মুক্তির আনন্দটা বড় নিবিড় বেদনায় ভরা! রিক্তের বেদন্ আমার মত এম্নি বাঁধা আর ছাড়ার দুটানার মধ্যে না পড়লে কেউ বুঝতে পার্বে না।·······হাঁ, এই সঙ্গে একটা নীরস হাসির বেগ কিছুতেই যেন সাম্লাতে পার্ছিনে এই দুটো ব্যর্থ-বন্ধনের নিষ্ঠুর কঠিন পরিণাম দেখে’।—তাই এ নিশীথে একটা পৈশাচিক হাঁসি হেঁসে গাইছি, “নিঠুর, এই করেছ ভালো! এম্নি করে’ হৃদয়ে মোর তীব্র দাহন জ্বালো! এই করেছ ভালো।” কি হয়েছে, তাই বল্ছি।—