বিষয়বস্তুতে চলুন

আজাদী সৈনিকের ডায়েরী/আজাদ হিন্দ সঙ্ঘের কার্য্য

উইকিসংকলন থেকে

২২শে অক্টোবর ১৯৪৩:

 এতদিন ইণ্ডিয়ান ইণ্ডিপেণ্ডেন্স্ লীগ বা আজাদ হিন্দ সঙ্ঘ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ব্যবস্থা করিতেছিলেন। কিন্তু কোন সভা বা সমিতি দ্বারা এইরূপ একটি বিরাট কাজ সম্ভব হইতে পারে না। সমিতির কর্ত্তৃপক্ষ ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনানায়কদের মধ্যে মনান্তরের ফলে কাজ বন্ধ হইয়া গিয়াছিল। নেতাজীর পরামর্শে আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্ট স্থাপিত হওয়ায় এই সমস্যার সমাধান হইল। সেনাদল গভর্ণমেণ্টের অধীন হইল।

 ইণ্ডিয়ান্ ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগও রহিল প্রবাসী ভারতবাসীগণের একটি সভারূপে। ইহার কাজ হইল ফৌজের জন্য লোক ও অর্থ সংগ্রহ এবং সমাজসেবা।

 নেতাজী এই সঙ্ঘেরও সভাপিত হইয়াছেন। তিনি একাধারে আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টের নেতা, ফৌজের সর্ব্বাধিনায়ক এবং লীগের সভাপতি।

 আজাদ হিন্দ সঙ্ঘের প্রধান কেন্দ্র সিঙ্গাপুরে থাকিবে। জাভা, সুমাত্রা, সেলিবিস, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ, মালয়, ব্রহ্ম, শ্যাম, ইন্দোচীন, চীন, মাঞ্চুকুয়ো, জাপান প্রভৃতি যেখানে ভারতবাসী আছে, সেইখানেই সঙ্ঘের শাখা আছে।

 সঙ্ঘের প্রত্যেক শাখায় এই কয়টি বিভাগের ব্যবস্থা হইয়াছে:

 (ক) সভ্য সংগ্রহ বিভাগ: সেনাবিভাগে সৈন্য সংগ্রহের চেষ্টাও এই বিভাগ করিবে।

 (খ) অর্থ সংগ্রহ বিভাগ: প্রবাসী ভারতবাসীগণের নিকট হইতে যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থার ভার এই বিভাগের উপর।

 (গ) প্রচার বিভাগ।

 (ঘ) শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিভাগ।

 (ঙ) সমাজমঙ্গল বিভাগ: দুর্গত ভারতবাসীদের সাহায্য, প্রভৃতি কাজ এই বিভাগ হইতে করা হইবে।

 (চ) মহিলা বিভাগ।

 (ছ) রাজনৈতিক বিভাগ: এই বিভাগ সঙ্ঘ ও আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার ব্যবস্থা করিবে।

 প্রত্যেক বিভাগের একজন করিয়া সম্পাদক থাকিবেন।

 আজাদ হিন্দ গেজেট প্রকাশের ব্যবস্থা হইয়াছে। সম্পাদনা করিবেন আর্ এস্ রাওয়াল্।