দুর্নীতির পথে/উপসংহার

উইকিসংকলন থেকে

অষ্টম অধ্যায়

উপসংহার

 এই প্রবন্ধমালা শেষ করার সময় হইয়াছে। শ্রীযুক্ত বুরো মালথাসের মত যে ভাবে পরীক্ষা করিয়াছেন তাহা এখন আলোচনা করার দরকার নাই। “লোকসংখ্যা অতি বৃদ্ধি হইতেছে, এবং মানব জাতিকে যদি ধ্বংসের হাত হইতে রক্ষা করিতে হয়, তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করিতে হইবে” এই কথা প্রচার করিয়া মালথাস তাহার সমসাময়িক লোকদের তাক লাগাইয়া দিয়াছিলেন। পরন্তু মালথাস সংযম সমর্থন করিতেন, অন্যপক্ষে আজকালকার নয়া-মালথাস-পন্থীরা সংযম সমর্থন করেন না, কিন্তু ঔষধপত্র ও যন্ত্রপাতির সাহায্যে লোককে পাশববৃত্তি চরিতার্থ করার ফল এড়াইতে বলেন। শ্রীযুক্ত বুরো নৈতিক উপায়ে অথবা ইন্দ্রিয়সংযম দ্বারা সন্তান নিরোধের কথা সানন্দে সমর্থন করেন এবং ঔষধপত্র ও যন্ত্রাদির তীব্র নিন্দা করেন। ইহার পর তিনি শ্রমিকদের অবস্থা ও জন্মহার সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছেন। পরিশেষে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও মানবতার নামে যে ভয়ানক দুর্নীতি চলিতেছে, তাহা দমন করার উপায় আলোচনা করিয়া তাহার পুস্তক শেষ করিয়াছেন। তিনি বলেন, লোক মত গঠন ও নিয়ন্ত্রিত করার জন্য সংঘবদ্ধভাবে চেষ্টা করা দরকার—এবং এজন্য রাষ্ট্রীয় সাহায্যের প্রয়োজন আছে। কিন্তু তিনি লোকের ধর্মভাব জাগরণের উপরই বেশী ভরসা রাখেন। একে তো দুর্নীতিকে মামুলী উপায়ে বন্ধ করা যায় না, তার উপর ইহাকে যখন ধর্ম্মনীতি বলিয়া ঘোষণা করা হয় এবং নীতিকেই দুর্ব্বলতা অবিশ্বাস ও দুর্নীতি বলা হয়, তখন তো দুর্নীতিকে মোটেই ঠেকান যাইবে না। সন্তান-নিরোধের সমর্থকগণ ব্রহ্মচর্য্যকে শুধু অনাবশ্যক বলিয়া নিরন্ত হন না, বরং তাহারা ইহাকে ক্ষতিকর বলিয়া নিন্দা করেন। এ অবস্থায় নিরঙ্কুশ পাপাচার ঠেকাইতে গেলে শুধু ধর্ম্মই সুফল প্রদান করিবে। ধর্ম্মকে এখানে যেন সঙ্কীর্ণ অর্থে ধরা না হয়। ব্যক্তি ও সমাজ ধর্ম্মের দ্বারা যেরূপ প্রভাবান্বিত হয়, অপর কিছুর দ্বারা সেরূপ হয় না। ধর্ম্মগত জাগরণের অর্থ পরিবর্ত্তন, বিপ্লব অথবা পুনর্জন্ম। শ্রীযুক্ত বুরো সাহেব বলেন, ফরাসীজাতি যে নৈতিক অধঃপতনের পথে নামিতেছে, তাহা হইতে এরূপ কোনো মহাশক্তি ভিন্ন আর কিছুই তাহাকে রক্ষা করিতে পারিবে না।

 * * * *

 এখন গ্রন্থকার ও তাহার পুস্তকের আলোচনা শেষ করিলাম। ফ্রান্স্ ও ভারতের অবস্থা একপ্রকার নহে। আমাদের সমস্যা অন্য একার। কৃত্রিম উপায়ে গর্ভনিরোধের চেষ্টা ভারতে সার্ব্বজনীন হয় নাই। শিক্ষিত শ্রেণীর মধ্যেও কদাচিৎ ইহার প্রয়োগ দেখা যাইতেছে। আমার মতে ভারতে ইহা প্রচলনের কোনো কারণ ঘটে নাই। অধিক সন্তানসন্ততি থাকার জন্য কি ভারতের মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় অসুবিধায় পড়িয়াছে? দুই একটি উদাহরণ দিলে প্রমাণিত হইবে না যে, মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে জন্মহার অতি মাত্রায় বাড়িয়া গিয়াছে। ভারতে যাহাদের জন্য কৃত্রিম উপায়ে গর্ভনিরোধের কথা শুনিয়াছি, তাহারা বিধবা এবং অল্পবয়স্কা স্ত্রী। একক্ষেত্রে গোপন সহবাস নিষেধ করা হইতেছে না, কিন্তু জারজ সন্তানের জন্ম বন্ধ রাখার চেষ্টা হইতেছে; অন্যক্ষেত্রে বালিকা-পত্নীর উপর বলাৎকার বন্ধ করা হইতেছে না, কিন্তু তাহার গর্ভসঞ্চারকে ভয় করা হইতেছে। তারপর থাকে অসুস্থ ও নিস্তেজ যুবকগণের কথা; ইহারা নিজের অথবা অন্যের স্ত্রীর সহিত অতিমাত্রায় ইন্দ্রিয়সেবা করিতে চায় এবং পাপ জানিয়াও ইহাতে লিপ্ত হইয়া ইহার ফল এড়াইতে ইচ্ছুক। আমি বিশেষ জোর দিয়া বলিতে চাই, যাহারা ইন্দ্রিয়সেবা করিতে ইচ্ছুক অথচ সন্তানের জনক জননী হইতে অনিচ্ছুক, ভারতের জন্মসমুদ্র মধ্যে এরূপ সুস্থদেহ স্ত্রী-পুরুষের সংখ্যা অত্যন্ত বিরল। তাহারা যেন তাহাদের কথা জাহির করিয়া না বেড়ায়, কারণ যদি ইহা ব্যাপক হইয়া পড়ে, তবে ইহাতে যুবক-যুবতীর সর্বনাশ নিশ্চিত। এক মহা কৃত্রিম শিক্ষা-পদ্ধতি যুবকদের মানসিক ও শারীরিক শক্তি নষ্ট করিয়া দিয়াছে। অনেক স্থলে আমরা অপরিণত বয়স্ক পিতামাতার সন্তান। স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়ম মানি না বলিয়া, আমাদের শরীর নষ্ট হইয়াছে। উত্তেজক মসলাযুক্ত অপুষ্টিকর খারাপ খাদ্য আমাদের পাকযন্ত্রকে দুর্ব্বল করিয়া দিয়াছে। কৃত্রিম উপায়ে গর্ভনিরোধ করিয়া কিভাবে ইন্দ্রিয়-পরিতৃপ্তি করার সুবিধা হইবে, সে শিক্ষা আমাদের দরকার নাই। যাহাতে ইন্দ্রিয়সংযম শিক্ষা হয় এরূপ শিক্ষা আমাদের নিরন্তর দরকার। যদি আমরা মানসিক ও শারীরিক শক্তি হিসাবে দুর্ব্বল থাকিতে না চাই, তবে সংযম পালন করা সম্পূর্ণরূপে সম্ভব এবং বিশেষ আবশ্যক, এ শিক্ষা যেন আদর্শ ও উপদেশ হইতে আমরা পাই। আমাদের মুক্তকণ্ঠে ঘোষণা করা দরকার, যদি আমরা ক্ষীণকায় ‘বামনের জাতি’ হইতে ইচ্ছা না করি, তবে যে জীবনী-শক্তি আমরা দিন দিন নষ্ট করিতেছি তাহা সঞ্চয় করিয়া বৃদ্ধি করিতে হইবে। আমাদের বালবিধবাদিগকে গোপনে পাপ করার পরামর্শ দিতে হইবে না, তাহাদিগকে বলিতে হইবে, তাহারা যেন প্রকাশ্যভাৰে সাহসের সহিত আবার বিবাহ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। অল্পবয়স্ক মৃতদার পুরুষের ন্যায় তাহাদেরও পুনর্ব্বিবাহের অধিকার আছে। লোকমত এমনভাবে গঠন করা দরকার, যাহাতে বাল্যবিবাহ অসম্ভব হইয়া উঠে। আমাদের অস্থিরচিত্ততা, কঠিন ও অবিরাম শ্রমসাধ্য কাজে অনিচ্ছা, শারীরিক অযোগ্যতা খুব জাঁকজমকের সহিত আরব্ধ অনুষ্ঠানেরও অসফল, এবং মৌলিকতার অভাব প্রভৃতির মূলে রহিয়াছে অত্যধিক বীর্য্যনাশ। আমি আশা করি, যুবকেরা ইহা বলিয়া আত্মবঞ্চনা করিবে না যে, সন্তানোংপত্তি না হইলে শুধু ইন্দ্রিয়সেবার ফলে কাহারও কোনো অনিষ্ট হয় না, ইহা লোককে দুর্বল করে না। আমি বলি সন্তানোৎপত্তির উদ্দেশ্যে ইন্দ্রিয়সেবা করিলে যে দুর্বলতা ও ক্লান্তি আসে, সন্তাননিরোধ করার উদ্দেশ্যে কৃত্রিম উপায় অবলম্বন করিয়া ইন্দ্রিয়সেবা করিলে, তাহা অপেক্ষা অনেক অধিক শক্তি ক্ষয় হয়।

 মন নরককে স্বর্গে এবং স্বৰ্গকে নরকে পরিণত করিতে পারে। যদি আমরা মনে করিতে আরম্ভ করি যে, ইন্দ্রিয়সেবা দরকার, ইহা অনিষ্টকর অথবা পাপজনক নহে, তবে আমরা নিরন্তর ইহা তৃপ্তি করিতে চেষ্টা করিব এবং ইহাকে দমন করা অসম্ভব হইবে। পরন্তু যদি আমরা বিশ্বাস করিতে পারি যে, ইন্দ্রিয়সেবা অনিষ্টকর, পাপজনক এক অনাবশ্যক ও ইহা সংযত করা যায়, তবে আমরা দেখিব যে পূর্ণভাবে ইন্দ্রিয়দমন করা সম্ভব। প্রমত্ত পশ্চিম নৃতন সত্য ও মানবের তথাকথিত স্বাধীনতার নামে স্বৈরাচারের তীব্র মদিরা এ দেশে পাঠাইতেছে, তাহা হইতে আমাদিগকে আত্মরক্ষা করিতে হইবে। অন্যপক্ষে যদি আমরা আমাদের পূর্ব্বপুরুষদের বাণী ভুলিয়া গিয়া থাকি, তবে পশ্চিমের জ্ঞানীদের যে মূল্যবান অভিজ্ঞতা সময় সময় আমাদের নিকট চুঁয়াইয়া পৌঁছে, আমরা যেন সেই ধীর স্থির বাণী শুনি।  শ্রীযুক্ত এণ্ডরুজ সাহেব ‘অন্তর্জনন ও জনন' সম্বন্ধে বহু তথ্যপূর্ণ সুন্দর একটি প্রবন্ধ আমার নিকট পাঠাইয়াছেন। ইহা শ্রীযুক্ত উইলিয়াম লোফ‍্টাস কর্ত্ত‌ৃক লিখিত এবং ১৯২৬ সালের মার্চ্চ মাসের ‘ওপেন কোর্ট' পত্রিকায় বাহির হয়। প্রবন্ধটি সুচিন্তিত এবং বৈজ্ঞানিক ভাবে লিখিত। লেখক দেখাইয়াছেন, সকল প্রাণীর শরীরে এই দুটি কাজ চলে—শরীরগঠন বা আভ্যন্তরীণ সৃষ্টি এবং জীবপ্রবাহ রক্ষার জন্য বাহিরের সৃষ্টি। এই প্রক্রিয়াকে তিনি যথাক্রমে অন্তর্জনন ও জনন নাম দিয়াছেন। অন্তর্জনন বা আভ্যন্তরীণ গঠন ব্যক্তির জীবনের ভিত্তি, এজন্য ইহা মুখ্য কাজ। জনন ক্রিয়া শরীর-কোষের আধিক্য হেতু হয়, এজন্য ইহা গৌণ। অতএব জীবন রক্ষার জন্য প্রথমত শরীর-কোষের পূর্ণতা দরকার; তারপর জননের কাজ চলিবে। যেখানে শরীর-কোষ অপূর্ণ, সেখানে প্রথমে শরীর গঠনের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া জনন ক্রিয়া বন্ধ রাখিতে হইবে। এইরূপে আমরা জনন-ক্রিয়া স্থগিত রাখার এবং সংযম বা ইন্দ্রিয়নিগ্রহের মূল পর্যন্ত পৌছিতে পারি। আভ্যন্তরীণ গঠন স্থগিত রাখিলে মৃত্যু অনিবার্য—ইহাই মৃত্যুর কারণ। শরীর-গঠনের কাজ বর্ণনা করিতে গিয়া লেখক কহিয়াছেন, “সৃষ্টি-প্রবাহ রক্ষার জন্য সভ্য মানুষ প্রয়োজনের অপেক্ষা অনেক বেশী বীর্য্যনাশ করে; ফলে শরীর গঠন ক্রিয়ার ব্যাঘাত হয় এবং ব্যাধি ও অকালমৃত্যু প্রভৃতি দেখা দেয়।

 হিন্দু-দর্শনের সামান্য জ্ঞান যাহার আছে, শ্রীযুক্ত হেয়ার সাহেবের প্রবন্ধ হইতে উদ্ধ‌ৃত নীচের অংশটি বুঝিতে তাহার কোন অসুবিধা হইবে না। “অন্তর্জনন কলের কাজের ন্যায় সম্বন্ধশূন্য নহে; ইহাতে লাশের পরিচয় পাওয়া যায়; অর্থাৎ ইহার মধ্যে বুদ্ধি এবং ইচ্ছাশক্তি প্রকাশ দেখিতে পাই। ইহা চিন্তা করা অসম্ভব যে, জীবনের কাজ নির্জীব কলের মত চলে। এ কথা সত্য যে আমাদের বর্ত্তমান চেতনা হইতে এই প্রাণশক্তির ক্রিয়া এত দূরে যে, দেখিয়া মনে হয়, মানুষ অথবা অপর জীবের ইচ্ছাশক্তি দ্বারা ইহা নিয়ন্ত্রিত হয় না। পরন্তু সামান্য চিন্তা করিলেই ধারণা করিতে পারি যে, বয়ঃপ্রাপ্ত লোকের বাহিরের গতিবিধি ও কাজ যেরূপ বুদ্ধির নির্দেশ অনুসারে ইচ্ছাশক্তি কর্ত্ত‌ৃক নিয়ন্ত্রিত হয়, শরীর-গঠনের উপর সেরূপ বুদ্ধি ও ইচ্ছাশক্তির প্রভাব থাকা চাই। মনোবিজ্ঞানবিদ ইহাকে অগোচর বলেন। আমাদের নিত্য-নৈমিত্তিক সাধারণ চিন্তার বাহির হইলেও ইহা আমাদের সহিত অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আমাদের চৈতন্যও সময় সময় সুপ্ত অবস্থায় থাকে। কিন্তু ইহা আপনার কাজে এরূপ জাগ্রত ও সাবধান যে, ক্ষণকালের জন্যও ইহা নিদ্রিত হয় না।

 শুধু শারীরিক সুখের জন্য বিষয়ভোগকরিলে আমাদের এই অগোচর ও অবিনশ্বর অংশের যে মহান ক্ষতি হয়, তাহার পরিমাণ কে করিতে পারে? জননের ফল মৃত্যু। সঙ্গমের ফলে পুরুষ মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হয় এবং প্রসবক্রিয়া নারীর পক্ষে মৃত্যুতুল্য। এজন্য লেখক বলেন, “যাহারা অনেকাংশে সংযমী অথবা সম্পূর্ণ ব্রহ্মচারী, তাহারা পুরুষত্ব ও জীবনীশক্তিসম্পন্ন এবং রোগহীন হইবেই। যে বীজকোষ উর্দ্ধগতি হইয়া শরীর গঠন করিবে, তাহাকে নামাইয়া আনিয়া জনন অথবা শুধু ভোগের কাজে লাগাইলে, দেহের ক্ষয় পূরণে বাধা পড়ে; ইহাতে ধীরে ধীরে, কিন্তু সুনিশ্চিতরূপে, দেহের মহা ক্ষতি হয়। এই সব ব্যাপার স্ত্রী-পুরুষের ইন্দ্রিয়সেবার ভিত্তি। ইহা হইতে সম্পূর্ণরূপে ইন্দ্রিয় দমন করিবার শিক্ষা না পাইলেও সংযম শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায়—অথবা কোনো প্রকারে কিছু না কিছু সংযমের মূল নীতি বুঝা যায়। লেখক রাসায়নিক দ্রব্য অথবা যন্ত্রপাতির সহায়তা লওয়ার বিরোধী। তিনি বলেন, “ইহার ফলে আত্মসংযমের কোনো তাগিদ থাকে না এবং বিবাহিত স্ত্রী-পুরুষের পক্ষে ইচ্ছার হ্রাস না হওয়া অথবা বৃদ্ধত্বের অক্ষমতা না আসা পর্যন্ত বীর্য্যনাশ করা সম্ভব হয়। ইহা ভিন্ন বিবাহিত জীবনের বাহিরেও ইহার একটা প্রভাব পড়ে। ইহা হইতে অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল এবং নিষ্ফল মিলনের দরজা খুলিয়া যায়; ইহা আধুনিক শিল্প, সমাজ ও রাজনীতি অনুসারে বিপদসঙ্কুল। পরন্তু এখানে এ সম্বন্ধে পুরাপুরি বিচার করার কোনো দরকার নাই। তবে ইহা বলা যথেষ্ট যে, কৃত্রিম উপায়ে গর্ভনিরোধের ফলে বিবাহিত অবিবাহিত উভয়বিধ জীবনে, অনুচিত ও অত্যধিক ইন্দ্রিয়-সেবার সুবিধা হয়, এবং যদি আমার পূর্ব্বের শরীর-শাস্ত্র সম্বন্ধীয় পেশ করা যুক্তি ঠিক হয়, তবে ইহাতে ব্যষ্টি ও সমষ্টির ক্ষতি নিশ্চিত।

 শ্রীযুক্ত বুরো যে কথা বলিয়া তাঁহার পুস্তক শেষ করিয়াছেন, তাহা প্রত্যেক ভারতীয় যুবকের অন্তরে গাঁথিয়া রাখা উচিত। সে কথা এই, “যাহারা সংযমী ভবিষ্যৎ সেই সব জাতির হাতে।”